২২ গজের বাইরে এবার রাজনীতির আঙিনায় এবার পা রেখেছিলেন বাংলার ও ভারতীয় দলে খেলা দুই ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারী ও অশোক দিন্দা। তবে একদা সতীর্থ হলেও, রাজনৈতিক চিন্তা ভাবনা অন্য হওয়ায় দুজনে যোগ দিয়েছিলেন পরস্পর বিরোধী দলে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় মনোজ তিওয়ারী যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস ও শুভেন্দু অধিকারীকে 'গুরু' মেনে অশোক দিন্দা যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। ভোটের লড়াইতেও অবতীর্ণ হয়েছিলেন ২২ গজের দুই সতীর্থ। তবে মুখোমুখি নয়, আলাদা কেন্দ্রে। মনোজ লড়েছিল হাওড়া শিবপুর থেকে আর অশোক পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না থেকে।
রবিবার বিধানসভা ভোটের ফলে তৃণমূলের জয়জয়কার,অপরদিকে যখন বিজেপি শিবিরে নীরবতা। কিন্তু ক্রিকেট মাঠের মতোই ভোটের মাঠেও বাজিমাত করল বাংলার দুই ক্রিকেটার অশোক দিন্দা ও মনোজ তিওয়ারি। শিবপুর থেকে ৩২ হাজার ৬০৩ ভোটের বিশাল ব্যবধানে রথীন চক্রবর্তীকে হারান বাংলার প্রাক্তন অধিনায়র মনোজ। অপরদিকে, ময়নাতে মধ্য রাত পর্যন্ত হাড্ডাহাড্ডি লডা়ইয়ের পর জয় পেয়েছে বঙ্গ ক্রিকেটের ‘নৈছনপুর এক্সপ্রেস’ অশোক দিন্দা। । নিকটবর্তী প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের সংগ্রাম কুমার দোলইকে ১৪০৯ ভোটে হারিয়েছেন তিনি। ফলে বিধাননসভায় প্রবেশ করছে বঙ্গল ক্রিকেটের দুই মুখ। আর ভোটের ময়দানে মুখোমুখি না লড়াই হলেও, আগামী ৫ বছর সংসদীয় রাজনীতিতে একে অপরের বিরোধী একদা দুই সতীর্থ।
জয়ের পর মনোজ তিওয়ারি জানিয়েছেন, শুরু থেকে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। সেটা আপনাদের আগেও বলেছি। তবে এত ব্যবধানে জিতব সেটা আশা করিনি। তাই এই জয় যে উপভোগ করছি সেটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আর বিজেপির বিরুদ্ধে জিতলেও, করোনার বিরুদ্ধে এখনও জেতা হয়নি সেই কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন মনোজ তিওয়ারি। একইসঙ্গে এলাকার উন্নয়নে মানুষের পাশে থাকার কথাও জানিয়েছেন তারকা ক্রিকেটার। অপরদিকে অশোক দিন্দা জানিয়েছেন, শুভেন্দু অধিকারীকেই তিনি গুরু মনে করেন এবং তার সঙ্গে কথা বলেই মানুষের পাশে থেকে মানুষের কাজ করার চেষ্টা করবেন। ফলে ২২ গজের বাইরে রাজনীতির পিচে কে বেশি সফল হন তার উত্তর দেবে আগামি ৫ বছর। এশিয়ানেট নিউজ বাংলার তরফ থেকে জয়ের জন্য দুজনকেই শুভেচ্ছা।