হার স্বীকার করেছে বিজেপি হাইকমান্ড। দোসরা মে ফল ঘোষণার পর সাংবাদিক সম্মেলন করে নিজেদের ভুল শোধরানোর আশ্বাস দিলেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষও। তিনি বলেন ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন থেকে যে ভুল সামনে এসেছে, তা শুধরে নিয়ে সামনে এগোবে বিজেপি। সেই ভুল যাতে ভবিষত্যে না হয়, তা খেয়াল রাখা হবে। এরই সঙ্গে নতুন উদ্যমে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেবে গেরুয়া শিবির।
দিলীপ ঘোষ এদিন বলেন দেখতে হবে কোন কোন বিষয় বিজেপির বিরুদ্ধে গিয়েছে। সেই বিষয়গুলিকে খতিয়ে দেখা হবে। দিলীপ ঘোষ জানান বিজেপির ঝুলিতে যা এসেছে, তা কম নয়। এই সাফল্যকে ছোট করে দেখা সঠিক হবে না। গত বারের নির্বাচনে যে দল তিনটি আসন পেয়েছিল, সেই দল ৭৭টি আসন পেল পরবর্তী নির্বাচনে। এই সাফল্য মোটেও ছোট করে দেখা উচিত হবে না।
আরও পড়ুন - তৃণমূলের ঐতিহাসিক জয়ের পরেই BJP কার্যকর্তাকে পিটিয়ে খুন, শোকের ছায়া বেলেঘাটায়
বঙ্গ বিজেপি সভাপতি আরও বলেন, রাজ্যে বিজেপি ২০০ আসনের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছিল। কিন্তু সেই লক্ষ্য পূরণ হয়নি। তবে ফল যে খুব খারাপ হয়েছে, তা বলা যাবে না। গতবারের নির্বাচন থেকে বেশি ভালো ফল করেছে বিজেপি, যা নিঃসন্দেহে একটা বড় সাফল্য। যে বড়সড় লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছিল, তা পূরণ করতে বঙ্গ বিজেপি ব্যর্থ হলেও, কর্মীদের অবদান ভোলার নয়। প্রত্যেক বিজেপি কর্মী অসম্ভব কঠিন পরিশ্রম করেছেন। তাঁদের অভিনন্দন। বাংলার মানুষের মন জয় করতে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি। তবু কর্মীদের পরিশ্রমকে কুর্ণিশ জানাতেই হয়।
এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন ৫ বছরে ৩টি আসন থেকে ৭৭টি আসনের রাস্তা সহজ ছিল না। এই পার্থক্যই বোঝাচ্ছে মানুষ বিজেপির সাথে রয়েছেন। আরও রাস্তা পেরোতে হবে। সেই পরিশ্রমের জন্য তৈরি হতে হবে বিজেপির কর্মীদের। এক একটা ধাপ পেরোতে সময় লাগে, সেই সময় দলকে দিতে হবে। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য এখন থেকেই তৈরি হতে হবে।
আরও পড়ুন - শক্তিশালী বিরোধী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবে বিজেপি, ট্যুইট করে হার স্বীকার অমিত শাহের
এদিন ট্যুইট করে বার্তা দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। তিনি বলেন শানুরূপ ফল হয়নি। বাংলার মানুষ যা রায় দিয়েছেন, তা তিনি মাথা পেতে নেবেন। বাংলার মানুষের এই রায়কে তিনি সম্মান করেন। এদিন অমিত শাহ ট্যুইট করে বলেন বিজেপির প্রতি সমর্থনের জন্য বাংলার মানুষকে ধন্যবাদ। বিজেপি শক্তিশালী বিরোধী দল রূপে বাংলার মানুষের অধিকার এবং রাজ্যের উন্নয়নের জন্য নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাবে।
এই একই বক্তব্য দোসরা মে ফল ঘোষণার পর বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর গলাতেও শোনা গিয়েছিল। তিনিও জানিয়েছিলেন বাংলার মানুষের দেওয়া জনাদেশকে মাথা পেতে নিচ্ছেন তিনি। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে এবার গঠনমূলক কাজ করবে বিজেপি। রাজ্যের উন্নয়নের জন্য চেষ্টা করবে গেরুয়া শিবির।