একুশের নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করাই লক্ষ্য নির্বাচন কমিশনের। শহরে হাজির হয়েছে কমিশনরে ফুলবেঞ্চ। বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করলেন নির্বাচনী আধিকারিকরা। আর সেখানেই পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করল বিজেপির প্রতিনিধি দল। বুধবার চন্দননগরে শুভেন্দু অধিকারীর মিছিলে 'গুলি মারো' স্লোগান ওঠে। এর তীব্র সমালোচনা করে তৃণমূল কংগ্রেস। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে কাটতে বিজেপি ,তিন জন নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই নিয়ে কমিশনের কাছে সরব হন দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন-শুভেন্দুর মিছিলে 'গোলি মারো' স্লোগান, পুলিশের ধরপাকড়ে গ্রেফতার ৩
বুধবার সন্ধ্যায় শহরে পৌঁছেছে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা সহ সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল। একুশের নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করাই যে কমিশনের লক্ষ্য তা নিয়ে আগেই স্পষ্ট করছে কমিশন। এই অবস্থায় বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। আর সেখানেই রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পরে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, '''দেশ কো গদ্দারো কো, গোলি মারো সালো কো' মঙ্গলবার টালিগঞ্জে তৃণমূলের শান্তি মিছিলে এই স্লোগান শোনা গিয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। অথচ, চন্দননগরে বিজেপি কর্মীরা একবার এই স্লোগান তোলে। তারই প্রতিক্রিয়া হিসেবে রাত দুটোর সময় গিয়ে বিজেপি কর্মীদের ঘর থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। বিজেপি এই স্লোগানের সমর্থন করে না''।
আরও পড়ুন-'ভয় দেখিয়ে ভোট আদায়, বিশেষ দলকে সাহায্য করছে BSF', 'রোহিঙ্গা' ইস্যুতে কমিশনে অভিযোগ পার্থর
পাশাপাশি, একুশের নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানিয়েছে বিজেপির প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ''গত লোকসভা নির্বাচনে আমরা দেখেছি, এ রাজ্যের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রেই হিংসা ও অশান্তির সৃষ্টি করেছে তৃণমূল। অথচ, গোটা দেশে নির্বাচন হলেও কোথাও কোনও সমস্যা হয়নি। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে আমরা প্রত্যেকটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর দাবি জানিয়েছি''। এদিন কমিশনে বিজেপির প্রতিনিধি দলে ছিলেন দিলীপ ঘোষ সহ শিশির বাজোরিয়া ও সব্যসাচী দত্ত।