নন্দীগ্রামে বিধানসভা নির্বাচনের গণনায় কারচুপি হয়েছিল। সেই ফল মেনে নিতে পারেননি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার নন্দীগ্রামের নির্বাচনের ফলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী। তবে পালটা দিতে ছাড়ছে না বিজেপিও। শুক্রবার ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
৬৬ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং, বিশ্বের সেরা রাষ্ট্রনায়ক নরেন্দ্র মোদী
এদিন দিলীপ বলেন মাননীয়া জানেন যে নন্দীগ্রামে যে ফল হয়েছে, তা সঠিক। কারণ উনি হেরেছেন, এটা যেমন ঠিক, তেমনই অন্য জায়গায় উপনির্বাচনে দাঁড়াচ্ছেন, সেটাও ঠিক। তবে গণতন্ত্রে ন্যায় চাইবার অধিকার সবার রয়েছে। উনি চাইলে আদালতে যেতেই পারেন। তবে বিজেপিও পিছিয়ে থাকবে না। সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে দল।
রাজ্য বিজেপি সভাপতি এদিন সাংবাদিকদের বলেন বেশ কিছু অভিযোগ নিয়ে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন। ইলেকশন পিটিশন দাখিল করা হবে। রাজ্য জুড়ে অনেক জায়গায় গন্ডগোল হয়েছে নির্বাচনের সময় বলে দাবি দিলীপ ঘোষের। তিনি বলেন বিভিন্ন গণনা কেন্দ্র থেকে কাউন্টিং এজেন্টকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এই সব ঘটনা আদালতের নজরে আনতেই মামলা করা হবে।
কলকাতায় শুরু কনটেনমেন্ট জোন তৈরির কাজ, ১৭ দিনের জন্য ঘেরা হল রাজারহাট
এদিকে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে বিজেপির টিকিটে জয়ী হন শুভেন্দু অধিকারী। আর শুভেন্দুর জয়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে ইলেকশন পিটিশন দায়ের করেন মমতা। গণনায় কারচুপি সহ একাধিক অভিযোগ এনেছেন তিনি। শুক্রবার সকাল এগারোটায় বিচারপতি কৌশিক চন্দের সিঙ্গল বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা। যদিও এই মামলা সংক্রান্ত কোনও নথি তাঁরা এখনও হাতে পাননি বলে জানিয়েছেন শুভেন্দুর আইনজীবী।
ওই কেন্দ্রের দিকে নজর ছিল গোটা দেশের। কারণ সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন তাঁর একদা ছায়াসঙ্গী শুভেন্দু অধিকারী। ফল ঘোষণার দিনও এই আসন নিয়ে উত্তেজনার পাদরদ ক্রমশ চড়ছিল। ভোটের ফল প্রকাশের দিন দেখা যায়, তুল্যমূল্য লড়াই হচ্ছে দু'জনের মধ্যে। কখনও মমতা এগিয়ে যান তো কখনও শুভেন্দু।
আগামী ২৪ ঘন্টায় টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস, আর কী জানাল হাওয়া অফিস
একের পর এক কেন্দ্রের ফলাফল সামনে আসতে শুরু করলেও রাত পর্যন্ত নন্দীগ্রাম নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছিল না। সেখানে মমতা হেরেছেন না জিতেছেন তা বোঝা যাচ্ছিল না। এক সময় জানা যায় শুভেন্দুকে হারিয়ে নন্দীগ্রামে জিতেছেন মমতা। ভোটের ব্যবধান ১২০০। আরও কিছুটা সময় কাটার পর জানা যায় সেই আসনে মমতা হেরে গিয়েছেন। ১৯০০-র বেশি ভোট পেয়ে জিতেছেন শুভেন্দু।