রাজ্যের ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যের সংঘাত ক্রমশই বাড়ছে। রাজভবন আর নবান্নের সংঘাতের মধ্যেই দিল্লি গিয়েছিলেন রাজ্য়পাল জগদীপ ধনকড়। বৃহস্পতিবার তিনি দেখা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাতের ছবি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন রাজ্যপাল। সেখানে তিনি জানিয়েছেন,কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর বাড়িতেই তিনি গিয়েছিলেন। সেখানেই কথাবার্তা হয়েছে। তবে কী নিয়ে কথা হয়েছে তা অবশ্য খোলসা করেননি জগদীপ ধনখড়। সন্ধ্যে ৭টা নাগাদ রাজ্যপাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর দিল্লি বাসভবনে। এদিন রাজ্যপাল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর সঙ্গেও দেখা করেছিলেন বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন সাংসদ অধীর চৌধুরীর কফি খেতে খেতে আলোচনা হয়েছে।
বিজেপি কর্মী দেবাশিস আচার্যর রহস্য মৃত্যু, পরিকল্পিত হত্যা বলেই দাবি কণিষ্ক পণ্ডার ...
সূত্রের খবর রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। কারণ দিল্লি যাওয়ার আগেই তাঁর সঙ্গে রাজভবনে দেখা করেছিলেন বিজেপি নেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। বৈঠকের পরেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় জানিয়েছিলেন রাজ্যের গণতন্ত্রের দমবন্ধ হয়ে আসছে। একই সঙ্গে তিনি বলেছিলেন রক্তে ভেজা বাংলা কেউই চায়না। এটাই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার ভোট সন্ত্রাস নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে ভোটের পরপরই তিনি শীতলকুচি, নন্দীগ্রামসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় গিয়েছিলেন। যা নিয়ে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে তার সংঘাত চরমে পৌঁছেছিল।
মাকড়সার 'রাক্ষুসে' জালে ঢাকা পড়ছে অস্ট্রেলিয়া, প্রকৃতির খেলার কারণ জানালেন বিশেষজ্ঞরা ...
এদিনও সেই সংঘাতের রেশ টেনে তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন রাজ্যপালের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, রাজ্যপাল এমন আচরণ করেছেন তিনি যেন বিজেপির এই রাজ্যের ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট। রাজভবনকে তিনি বিজেপির রাজনৈতিক কার্যালয়ে পরিণত করেছেন। তবে এই মর্মে ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীকে দুটি চিঠি লিখেছেন।
করোনাকালে Green Fungus-সংক্রমণ বড় বিপদ, সবুজ ছত্রাকের কারণ আর লক্ষণগুলি জেনে নিন ...
অন্যদিকে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে অমিত শাহর বৈঠকের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন শুভেন্দু অধিকারীও। সেখানে তিনি বলেছেন সাংবিধানিক মূল্যবোধকে টিকিয়ে রেখেই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখা যায়।বাংলাকে অন্ধকারে গ্রাস করেছে - তা থেকে মুক্তি পেতে সেটাই জরুরি।
এদিনও রাজ্যপাল সকাল ১১টা নাগাদ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্ডের সঙ্গে দেখা করেছেন। সেকথাও সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন। বুধবারই দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অরুণ কুমার মিশ্র সঙ্গেও দেখা করেছেন তিনি। তিনি দিল্লি যাওয়ার সময় শোনাগিয়েছিল তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও দেখা করবেন। তবে তা এখনও সম্ভবপর হয়নি।