মোদী সফরের দিনেই তৃণমূলকে তোপ দাগলেন দিলীপ। প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে শিশির-দিব্য়েন্দুর বিজেপিতে যোগদান নিয়েও খুললেন মুখ। এদিকে শিয়রে একুশের বিধানসবা নির্বাচন। ইতিমধ্য়েই কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানিয়েছেন, নতুন করে আরও দলে কাউকে নেওয়া হবে না। তবে কি এবার মিরাকল ঘটবে, চাপান-উতোর রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়ুন, মোদীর জন্য 'মাছ-আদিবাসীদের নৃত্য' আঁকা পাঞ্জাবি-শাল উপহার, তৈরি করলেন বাংলার পট শিল্পীরা
রবিবার ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, 'শিশির অধিকারী এবং দিব্য়েন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করছে বলে আমার এখনও জানা নেই। যোগদানের প্রশ্নও নেই। আমরাতো ৬ বছর ধরে শুনছিলাম, শুভেন্দু অধিকারী দলে আসবেন বলে। তারপরও আসেননি। তাঁর সঙ্গে যা ইচ্ছে তাই করছে। তাঁর পরিবারের সঙ্গেও। সমস্ত সুযোগ নেওয়ার পরেও। কে বের করেছে, ওরা কোনও যোগ্য লোককে পার্টিতে থাকতে দেবে না। কারণ ওটা প্রাইভেট প্রপার্টি, কোম্পানি। কোনও যোগ্য ব্যাক্তি, ভদ্রলোক থাকতে পারবেন না। শুভেন্দু অধিকারী না হয় চলে গিয়েছেন। কিন্তু বাকিরা কেন চলে যাচ্ছেন, ওই পার্টিতে কোনও গনতন্ত্র নেই। কার্যকর্তাদের কোনও অধিকার নেই। মান-সম্মান নেই। তাই তাঁরা বিকল্প খুঁজছেন। উন্নয়নের স্বার্থে ভারতীয় জনতা পার্টির পতাকায় তলায় আসছেন।'
প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি থেকে পদত্যাগ করার পরেই তৃণমূল ছাড়েন তাঁর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। এদিকে এরপর পরেই গুরুত্বপূর্ণ পদগুলি থেকে অপসারণ করা হয় শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারীকে। বয়েসের কারণ দেখিয়ে অপসারণ করে তৃণমূল। শুধুই খাতায় কলমে এখন তৃণমূলের সদস্য শিশির অধিকারী এবং দিব্য়েন্দু অধিকারী। এদিকে রবিবার দিলীপের এহেন মন্তব্য়ের ভোটের একেবারে দোরগড়ায় শেষ অবধি অধিকারী পরিবার পুরোটাই পদ্মের মুখ হবে কিনা, তা দেখার অপেক্ষায় সারা বাংলা।