ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও প্রার্থী যেন গণনা কেন্দ্র ছেড়ে না যান। শুক্রবার দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করে এই নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার রাজ্যে ভোট গণনা হওয়ার কথা। নবান্ন দখলের লড়াইয়ের শেষ ধাপ। আর সেই আর স্লগওভারের খেলায় যাতে কোনও মত দলীয় প্রার্থীরা ঢিলেঢালা মনোভাব না দেখায় বা মানসিকভাবে দুর্বল না হয়ে পড়ে তারজন্যই এই নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু প্রার্থী নয় দলীয় কাউন্টিং এজেন্টদের ক্ষেত্রেও তিনি একই নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিনের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জঙ্গলমহল আর উত্তরবঙ্গ আসনগুলি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। গত লোকসভায় এই দুটি এলাকায় রীতিমত ভালো ফল করেছিল বিজেপি। আর তারই প্রতিছবি বিধানসভা নির্বাচনের ভোট যন্ত্রে পড়তে পারে বলেও রাজ্যের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। তবে তিনি দলীয় বৈঠকেও তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যে ক্ষমতায় ফেরার বিষয় আশাবাদী। তৃণমূল নেত্রীর কথায় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়েই নবান্ন দখল করবে তৃণমূল কংগ্রেস।
দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বৈঠক করেন সেখানে তিনি আরও একবার করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধি নিয়ম মেনে চলার কথা বলেন। দলীয় প্রার্থী ও কাউন্টিং এজেন্টদের সাবধান করে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নির্বাচন কমিশনের অফিসার ও প্রতিপক্ষের তরফ থেকে কোনও জলখাবার, জল, পানীয় বা খাবার নিতে বারন করে দেন। যদিও নির্বাচন কমিশন আগেই জানিয়েছে গণনা কেন্দ্রে প্রবেশের জন্য প্রার্থী ও এজেন্টদের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত আরটি-পিসিআর টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট দাখিল করতে হবে। তবে যদি করোনাভাইরাস টিকার দুটি ডোজ নেওয়া থাকে তাহলে করোনা পরীক্ষার রিপোর্টের প্রয়োজন নেই। গণনাকেন্দ্রে মাস্ক ও স্যানিটাইজারের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বিজয় মিছিলের ওপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
ভোট পরবর্তী একাধিক বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। প্রার্থী ও এজেন্টদের দুটি হেল্ফ লাইন নম্বর দেওয়া হয়েছে। গণনা কেন্দ্রে তারা যদি কোনও সমস্যায় পড়ে বা সাহায্যের প্রয়োজন হয় তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসের কন্ট্রোলরুমের সঙ্গে অবিলম্বে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। আটটি দফায় পশ্চিমবঙ্গে ২৯৪টি আসনে ভোট গ্রহণ হয়েছে। রবিবার ২ মে ভোট গণনা।