ভোট গ্রহণের ৭২ ঘণ্টা আগে থেকে বাইক মিছিলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, নির্বাচন কমিশন জানতে পেরেছে ভোটের আগে বাইক মিছিল সংঘটিত করার মূল উদ্দেশ্যই হল ভোটারদের ভয় দেখান। আর সেই কারণেই নির্বাচনে ৭২ ঘণ্টা আগে থেকেই বাইর মিছিলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশনের নজরে আনা হয়েছিল যে কিছু জায়গায় ভোটদান অথবা ভোট গ্রহণের আগে ভোটারদের ভয় দেখানোর জন্য এলাকার দুষ্কৃকতীদের নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা বাইক মিছিল করে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবার থেকে ভোট গ্রহণের ৭২ ঘণ্টা আগে থেকে আর কোনও রকম বাইক মিছিলেন অনুমতি দেওয়া হবে না। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী ভোট গ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা অর্থাৎ দুদিন আগে শেষ করতে হবে প্রচার। আর ভোট গ্রহণের তিন দিন আগেই বাইক নিয়ে মিছিল বন্ধ করতে হবে রাজনৈতিদলগুলিকে। অসম, পশ্চিমবঙ্গ, কেলর, তামিলনাড়ু ও পুদুচেরিতে বিধানসভা ভোট গ্রহণ হবে। আগামী সপ্তাহ থেকেই বাংলায় ভোট গ্রহণ শুরু হবে।
'আমাদের পরিবার নেই তাই আমরা দুর্নীতিগ্রস্ত নই', কেন এই কথা বললেন এক ভোট প্রার্থী ...
'ওদের ডিলটা খিল করে দিন ', বাঁকুড়ার প্রথম জনসভা থেকে বিজেপির সঙ্গে বাম-কংগ্রসকেও নিশানা মমতার ...
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করে। সেই সময়ই জানা হয়েছিল কোভিড আহবে যেহেতু ভোট গ্রহণ হবে সেই কারণে করোনাবিধি মেনেই ভোট নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। ভোট কর্মী, এজেন্ট ও ভোটদাতাদের মাস্কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হবে। ভোট কেন্দ্রেও নিরাপদ শারীরিত দূরত্ববিধি বজায় রাখা হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশন সুনীল আরোরা জানিয়েছিলেন, সামাজিত দূরত্বের কারণে পশ্চিমবঙ্গে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা ১.১ লক্ষ বাড়ান হয়েছে। আট দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গেসহ বাকি সব রাজ্যগুলির ভোট কর্মীদের জন্যও করোনা-টিকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অসমে ১২৬, তামিলনাড়ুতে ২৩৪, পশ্চিমবঙ্গে ২৯৪ কেরলে ১৪০ আর পুদুচেরিতে ৩০টি আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে। ফল প্রকাশ হবে আগামী ২ মে।