সংক্ষিপ্ত

  • ভোট রঙিন তামিলনাড়ুর দক্ষিণ মাদুরাই কেন্দ্র 
  • প্রার্থী হয়েছে এক ট্রান্সজেন্ডার 
  • মডেলসিটি তৈরির স্বপ্ন নিয়েই ভোট ময়দানে তিনি 
  • লক্ষ্য তামিলনাড়ুতে পরিবর্তন আনা 

স্বপ্ন একটা। আর সেটা হল মাদুরাইকে মডেল সিটি তৈরি করা। আর সেই স্বপ্ন বুকে নিয়ে এবার ভোট ময়দানে নেমেছেন ভারতী কান্নামা। নিউ জেনারেশন পিপিলস পার্টির ব্যানারেই তিনি নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নিচ্ছেন। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন ভারতে প্রথম ট্রান্সজেন্ডার প্রার্থী হতে পেরে তিনি গর্বিত। নির্বাচনে লড়াই করে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চান বলেও ঘনিষ্ট সূত্রে জানিয়েছেন ভারতী কান্নামা। 

তবে এটাই প্রথমবার নয়। এর আগেও ভোটে ময়দানে নিজের নাম লিখিয়েছিলেন ভারতী। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। আর ১৯৯৯ সালে কান্নামা লোকসভা নির্বাচনেক জন্য দাখিল করা মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়ে গিয়েছিল। তবে এই প্রথমবার তিনি বিধানসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দক্ষিণ মাদুরাই কেন্দ্রের প্রার্থী তিনি। ভারতী কান্নামার শিক্ষাগত যোগ্যতাও রীতিমত ঈর্ষনীয়। সমাজ বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে তাঁর। এই বিষয় তিনি ডক্টরেট। অর্থনীতি ও কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ডিপ্লোমা করেছেন তিনি। ভোট লড়াইতে সামিল হয়ে তিনি বলেন আমাদের অর্থাৎ হিজড়েদের কোনও পরিবার নেই। তাই তাঁরা দুর্নীতিগ্রস্ত হবেন না। আর সেই কারণে জনসেবাই তাঁদেরা কাছে অগ্রাধিকার পাবে। তাঁকে ভোটে জয়যুক্ত  করার আবেদন জানিয়েছেন তামিল জনতার কাছে। 

'এত নির্মম প্রধানমন্ত্রী কখনও দেখিনি', নন্দকুমারের জনসভায় আর ঠিক কী কী বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ...

সোনার বাংলা গঠনে কল্পতরু বিজেপি, এক নজরে দেখে নিন কী কী প্রতিশ্রুতি দিয়েছে গেরুয়া শিবির ...

ভারতী কান্নামের ভোট লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতিও যথেষ্ট রঙিন। তিনি বলেছেন বিধায়ক হতে পারলে তিনি প্রতিটি পরিবার থেকে যাতে একজন করে সরকারি চাকরি পায় সেদিকেই নজর দেবেন। তাঁর এলাকার প্রতিটি নাগরিক যাতে দিনে তিনবেলা খাবার পায় সেই সেই পরিমাণে রেশন দেওয়ার মত ব্যবস্থা করবেন তিনি। একটি রেস্তোরাঁ তৈরির পরিকল্পনাও তাঁর রয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বিধায়ক হলে সকল নাগরিকের চিকিৎসার দিকেও  বিশেষ নজর দেবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। ভারতী জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত দুজনি ট্রান্সজেন্ডডার প্রার্থী নির্বাচনে লড়াই করার সুযোগ পেয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারাও ভারতীয় এই লড়াইতকে স্বাগত জানিয়েছেন। এলাকার মানুষও ট্রান্সজেন্ডারদের সংরক্ষণের দাবি তুলেছেন। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন ভোট ময়দানে নামার আগে থেকেই ভারতীয় একাধিক সেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাই তিনি যদি বিধায়ক হত তাহলে স্থানীয় মানুষরাই উপকৃত হবেন।