তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত বাসন্তী। ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর রাজনৈতিক হিংসা বেড়েই চলেছে। রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছিল অমিত শাহের মন্ত্রক। ইতিমধ্যেই কলকাতায় এসেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল। তবে এবার বিরোধী দলের সঙ্গে নয়, নিজেদের মধ্য়েই হিংসা ছড়াল তৃণমূল। উলটে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বাসন্তীর ফুলমালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা।
আরও পড়ুন, বাংলায় রাজনৈতিক হিংসার জেরে রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের, আজই স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যপাল
বৃহস্পতিবার রাতভর এলাকায় বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় তিনজন তৃণমূল কর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন। এলকায় অশান্তির খবর পেয়ে রাতেই বাসন্তী থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ফুলমালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল কাদের হাতে থাকবে তা নিয়েই মূলত দুই পক্ষের মধ্যে অশান্তি নতুন করে শুরু হয়েছে। যদিও এলাকার তৃণমূল নেতার দাবি বিজেপি, আরএসপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এলাকায় অশান্তির চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন, যাদবপুরের BJP প্রার্থী রিংকু নস্করের বাড়িতে হামলা, কাঠগড়ায় তৃণমূল
বিধানসভা নির্বাচনে বাসন্তীতে তৃণমূল প্রার্থী শ্যামল মন্ডল জয়লাভ করেছে। এরপরেই দীর্ঘদিন ধরে বাসন্তীর ফুল মালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান যুব তৃণমূলের ইউসুফ আনসারীর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার তোড়জোড় শুরু করেছে মূল তৃণমূল কর্মীরা। আর সেই কারণেই বৃহস্পতিবার রাতে এলাকায় যুব তৃণমূলের লোকজন তথা ইউসুফ আনসারীর লোকেরা বোমাবাজি করেছে বলে অভিযোগ। বাসন্তী থানার ফুলমালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১ নং সরদার পাড়া এলাকায় এই ঘটনায় রাত থেকেই উত্তেজনা ছড়ায়।
আরও পড়ুন, 'ডবল সেঞ্চুরি' হাঁকাতেই BJP কর্মীদের উপর পর পর হামলা-পিটিয়ে খুনের অভিযোগ, কাঠগড়ায় TMC
সুত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী যখন বাজার থেকে বাড়িতে ফিরছিল, অভিযোগ সে সময় তাদের উপর আচমকা চড়াও হয় যুব তৃণমূলের লোকজন। বোমা ও গুলি বর্ষন করে। এই ঘটনায় তিনজন আহত হন। তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে বাসন্তী ব্লক গ্রামীন হাসপাতালে পাঠানো হয় চিকিৎসার জন্য। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে শুক্রবার সকালে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার খবর পেয়ে বাসন্তী থানার পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এ বিষয়ে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই যুব তৃণমূল নেতৃত্ব ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন।