সংক্ষিপ্ত

 

  •  ফল প্রকাশের পর থেকেই রাজনৈতিক হিংসা বেড়েই চলেছে 
  •   রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছিল শাহের মন্ত্রক 
  •  কলকাতায় এসেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল  
  • শুক্রবার সকালেই বৈঠক বসছেন স্বরাষ্ট্র সচিব-রাজ্যপালের   
     


শুক্রবার সকালেই বৈঠক বসছেন স্বরাষ্ট্র সচিব-রাজ্যপালের।  রাজ্যে ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই রাজনৈতিক হিংসা বেড়েই চলেছে।   রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছিল অমিত শাহের মন্ত্রক। তারপর বৃহস্পতিবারই কলকাতায় এসেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল। এবার গোটা পরিস্থিতির রিপোর্ট নিয়ে এদিন সকালেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব গোবিন্দ মোহন।

আরও পড়ুন, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বাংলায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের চার সদস্যের প্রতিনিধি দল  

 

 

 

 

এদিন সকাল ১০টায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব গোবিন্দ মোহন। টুইট করে সেই বৈঠকের কথা জানিয়েছেন রাজ্যপাল। জানা গিয়েছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আগেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছ থেকে রিপোর্ট পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ওই সচিবের নের্তৃত্বেই রাজ্যে এসেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল। রাজ্য থেকে ফিরে গিয়ে ওই প্রতিনিধি দল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে রিপোর্ট দেবে। ভোটের ফলপ্রকাশের পরেই রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসা বেড়েই চলায় অভিযোগ তুলে রিপোর্ট তলব করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সেই চিঠির জবাব না পেয়ে দ্বিতীয় চিঠি দেওয়া হয় বুধবার। এরপর বৃহস্পতির সকালেই রাজ্যে এসে পৌছন কেন্দ্রের ওই প্রতিনিধি দল। অবিলম্বে রিপোর্ট না পাঠালে বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে বলে আগেই জানিয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। 

আরও পড়ুন, নবাব নগরীতে গেরুয়া ঝড়ে শোচনীয় পরাজয় TMC-র, দলীয় অন্তর্ঘাতই কি বিপদ ডেকে আনল 


 
প্রসঙ্গত, ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকে রক্ত ঝরছে বিজেপির কর্মীর। বিজেপির কার্যকর্তা বেলেঘাটার বাসিন্দা অভিজিৎ সরকার খুনের পাশাপাশি বারুইপুর সহ একাধিক জায়গায় খুন হয়েছেন বিজেপি কর্মীরা। এবং প্রতিবারই কাঠগড়ায় তৃণমূল।  রিপোর্ট তলব করছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং এই বিষয়ে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছিল বিরোধীরা। এরপরেই টুইটে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপাল। টুইটে রাজ্যপাল লিখেছিলেন, ' গণতন্ত্রের পক্ষে লজ্জাজনক এমন অনর্থক হিংসা, খুন, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ বন্ধ হওয়া উচিত। এই অরাজকতা নিয়ে বিশ্বব্যাপী বাঙালিরা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। এবং তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, কেন শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই নির্বাচন পরবর্তী হিংসা, কেন গণতন্ত্রের উপরে এই হামলা এবং ভয়াবহ পরিস্থিতি ইঙ্গিত উঠে আসছে। আতঙ্কিত মানুষ প্রাণ বাঁচাতে পালাচ্ছেন।'