গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ৩০ টি তাজা বোমা উদ্ধার করল পুলিশ। ওই সমস্ত বোমা উদ্ধার করা হয়েছে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বাড়ি থেকে। পুলিশ বোমা উদ্ধারের পাশাপাশি ওই বাড়ি গুলিকে ঘিরে রেখেছে। বোমা বিশেষজ্ঞ দলের সদস্যদের নিয়ে বাড়ি গুলিতে আরও বোমা মজুত রয়েছে কিনা তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠি। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের কাঁকড়তলা থানার কদমডাঙ্গা গ্রামে।
কদম ডাঙ্গা গ্রামের বিজেপি কর্মী তারাপদ দাস, তাঁর ছেলে অজিত দাস এবং প্রতিবেশী কার্ত্তিক পালের খামারবাড়ি থেকে সকেট এবং হাত বোমা উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অজিত দাসের খামার বাড়িতে প্লাস্টিকের জারে হাত বোমা মজুত ছিল। বাকি দুজনের খামারবাড়ি থেকে সকেট বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। বোমা উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। তিনটি বাড়ি পাহারায় রয়েছে পুলিশ।
জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠি বলেন, “বোমা বিশেষজ্ঞ দলকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এসে বোমা গুলি নিস্ক্রিয় করবে। সেই সঙ্গে আরও বোমা মজুত রয়েছে কিনা তদন্ত করবেন তারা। অভিযুক্তরা পলাতক। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে”।
জেলা তৃণমূল নেতা মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “ভোটের আগে থেকেই বিজেপি ঝাড়খণ্ড থেকে বোমা, বারুদ মজুত করছিল। তাতে কিছুটা তারা সফল হয়েছে। আমাদের দাবি এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে অভিযুক্তদের শাস্তি দিতে হবে”।
দুবরাজপুরের বিধায়ক বিজেপি নেতা অনুপ সাহা বলেন, “ভোটের আগে থেকেই আমাদের কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। তৃণমূলের অত্যাচারে এখনও বহু কর্মী গ্রাম ছাড়া। এখন বাড়ির খামারে বোমা ঢুকিয়ে দিয়ে ফাঁসানো হচ্ছে। এভাবে বিজেপিকে দমিয়ে দেওয়া যাবে না”।