হরিশ্চ চ্য়াটার্জী স্ট্রিটে গিয়ে পদ্ম ফোটাবো। খড়দহ থেকে শুভেন্দুর এই মন্তব্যের পরই রাতারাতি বদল করা হয়েছিল কাঁথি পুরসভার প্রশাসক। পুর-প্রশাসন থেকে রীতিমত বিজ্ঞপ্তি জারি করে সরিয়ে দেওয়া হয় শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীকে। আইন মা মেনেই তাঁকে অপসারণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সৌমেন্দু। সেই মামলায় ধাক্কা খেলেন শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দু।
সোমবার হাইকোর্টে মামলার শুনানিতে বিচারপতি অরিন্দম সিনহা বলেন, যে কাউকে পুর-প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করাতে পারে সরকার। পুরসভার আইনে এই কথা বলা রয়েছে। সৌমেন্দুর হয়ে এই মামলায় লড়েন আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন সৌমেন্দু অধিকারী একজন নির্বাচিত সদস্য। এখন যাঁকে প্রশাসকের পদে বসানো হয়েছে, তিনি নির্বাচিত প্রতিনিধি নন। এর জবাবে অ্য়াটর্নি জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, পুর আইন অনুযায়ী রাজ্য সরকারের হাতে এই ক্ষমতা রয়েছে। হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে এরকম বহু ঘটনার উদাহরন রয়েছে।
আরও পড়ুন-'মিমকে ভোট মানে, বিজেপির হাত শক্ত করা', বীরভূমের সভা থেকে ওয়েসিকে কটাক্ষ অনুব্রতর
কাঁথি পুরসভার প্রশাসকের পদ থেকে অপসারণের পর কারন জানতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন মেজো ভাই দিব্যেন্দু। এরপর কয়েক দিন পরই কাঁথির জনসভায় নতুন বছরের প্রথম দিনে শুভেন্দুর হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন সৌমেন্দু। আইন না মেনে তাঁকে অপসারণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। সেই মামলার প্রথমেই ধাক্কা খেলেন সৌমেন্দু। মঙ্গলবার ফের ওই মামলার শুনানির সম্ভাবনা।