দীনেশ ত্রিবেদী ইস্তফা দিতেই নোবেল বার্তা দিলেন মদন মিত্র। উল্লেখ্য, আচমকাই রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ।রাজ্যসভার সভাকক্ষে উঠে দাঁড়িয়ে একথা ঘোষণা করেন তিনি। আর এরপরেই একেই পর আক্রমণ দীনেশ ত্রিবেদীকে করলেন প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র।
আরও পড়ুন, 'এবার দর্শকের ভূমিকাতেই থাকতে হবে মমতাকে', দীনেশের ইস্তফা দিতেই তোপ দিলীপ-কৈলাসের
দীনেশ ত্রিবেদীকে বিশ্বাসঘাতক বলে তকমা দেন প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র। এদিন তিনি দীনেশ ত্রিবেদীর উদ্দেশ্যে খোঁচা দিয়ে বলেছেন, মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের শুধু নোবেলটাই দেওয়া বাকি ছিল দীনেশ ত্রিবেদীকে। তিনি মনে করান, লোকসভা নির্বাচনে দীনেশ হেরে গিয়েছিলেন। তবুও দীনেশকে দলের রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। এই কথা বলার পাশপাশি কয়েকজন নেতার দলত্যাগে তৃণমূলে কোনও প্রভাব পড়বে না বলে দাবি করেন মদন মিত্র ।
আরও দেখুন, Election Live Update-মোদী-শাহ-র প্রশংসায় পঞ্চমুখ দীনেশ, দিল্লিতে দিব্যেন্দুও, জল কোন দিকে
প্রসঙ্গত রাজ্যসভার সভাকক্ষে উঠে দাঁড়িয়েণই ইস্তফার কথা ঘোষণা করেন দীনেশ ত্রিবেদী। তিনি জানিয়েছেন, তৃণমূলকে ধন্যবাদ। চুপ করে থাকতে থাকতে আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে। আমি আর চোখে দেখতে পারছি না। ওদিকে অত্যাচার চলছে, কিছু করতে পারছি না। বাংলায় গিয়ে আমি মানুষের সঙ্গে কথা বলতে চাই।' তিনি এরপরে বলেন, আমার মন বলছে, বিবেকানন্দের বাণী শুনতে। ওঠো -জাগো -লক্ষ্যে না পৌছানো পর্যন্ত থেমে থেকো না। আমার মন বলছে এখানে চুপ করে বসে বসে দেখার থেকে ইস্তফা দাও।'এদিকে হেভিওয়েট প্রসঙ্গে মুকুল রায় দিয়ে শুরু হলেও শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়তেই যে তৃণমূলের বড় ভাঙন শুরু হয়েছে, এনিয়ে এখনও সম মত রাজনৈতিক মহলের। শুভেন্দু অধিকারীর পদত্যাগের পরেই রাতারাতি দলে দলে তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক ওঠে। সদলবলে গিয়ে বিজেপিতে নাম লেখান সকলে। এদিকে দোরগড়ায় ভোট। নির্বাচনের আগে শেষ মুহূর্তে দীনেশ ত্রিবেদী যদি বিজেপিতে যোগদান করেন, তাহলে ভরাডুবির আরও কাছে গিয়ে পৌছবে ঘাসফুল শিবির, গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে।