শুভেন্দুর দলত্যাগের পর তাঁকে জবাব দিতে ৭ জানুয়ারি সভা করার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী। বছর শেষে পূর্ব নির্ধারিত শেষমেষ বাতিল হয়ে যায়। নন্দীগ্রাম শহীদ দিবসে তৃণমূলের সেই হাইভোল্টেজ কর্মসূচি না হওয়ায় কটাক্ষ করেছিল বিজেপি। মমতা ভয় পেয়ে নন্দীগ্রামে সভা করেননি বলে দাবি করেছিল গেরুয়া শিবির। সেই সভার পাল্টা হিসেবে ৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে সভা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন-ঘরে ফিরলেন দলত্যাগী শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ সিরাজ খান, দুই জেলায় নেতৃত্বে
৭ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি বাতিল হওয়ার নেপথ্যে কী ছিল? তা অবশ্য খোলসা করেছিলেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্য়ায়। তিনি বলেছিলেন, রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি করোনা আক্রান্ত হওয়ায় প্রস্তাবিত সেই সভা শেষ মূহূর্তে বাতিল হয়ে যায়। পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে সোমবার অর্থাৎ ১৮ জানুয়ারি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ে সভা ঠিক হয়। সেইমতো এদিনই নন্দীগ্রামে সভা করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মমতার এই সভায় প্রায় তিন লক্ষ মানুষের ভিড় হবে বলে দাবি করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। নন্দীগ্রামের সেই সভা থেকে তৃণমূল নেত্রী কী বার্তা দেন? এখন সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিকমহল।
অন্যদিকে, ৭ জানুয়ারি মমতার সভা স্থগিত হওয়ায় পরের দিন নন্দীগ্রামে সভা করেছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে দাঁড়িয়ে নবাগত বিজেপি নেতা বলেছিলেন, দুই মেদিনীপুরে ৩৫ আসনেই হারবে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার সোমবার নন্দীগ্রামে মমতার সভার দিনই তাঁর গড়েই পাল্টা সভা ও পদযাত্রা করবেন শুভেন্দু। মমতার সভার সময়ই দক্ষিণ কলকাতায় সভা ও পদযাত্রা করবেন শুভেন্দু অধিকারী।