গোটা দেশ জুড়েই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষজ্ঞদের কথায় দেশে আছড়ে পড়েছে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গ। এই অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে ৬টা নাগাদ রাজ্যগুলির প্রধানমন্ত্রী একটি জরুরি বৈঠকের ডাক দিয়েছেন। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গেই দেশের করোনা পরিস্থিতি ও টিকাকর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি। কিন্তু সূত্রের খবর এদিনের বৈঠক এড়িয়ে যেতে পারেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছেন, সম্ভবত বৈঠকে থাকবে না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পরিবর্তে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগেও প্রধানমন্ত্রীর ডাকা একাধিক বৈঠকে অংশ নিলেও বেশ কয়েকটি বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেশ কয়েকদিন আগেই থেকেই এই বৈঠকের বিষয় নিয়ে অবগত করা হয়েছে রাজ্যগুলিকে। বর্তমানে করোনাভাইরাসের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আর সেই কারণেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্যই প্রধানমন্ত্রী রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করবেন বলেও জানান হয়েছিল।
ভোট প্রচারে বুড়ো আঙুল করোনা-স্বাস্থ্যবিধিকে, পরিণতি নিয়ে আশঙ্কা স্বাস্থ্য কর্তার ...
সিঙ্গুর আর ডোমজুড়ে 'শাহী' রোডশো, রাজীব ও রবীন্দ্রনাথের হয়ে ভোটের হাল ধরলেন অমিত ...
ভোটের পরে মমতার সঙ্গে যাবে কংগ্রেস, কী বললেন প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী ...
বর্তমানে এই রাজ্যে ভোটের আবহে এই রাজ্যের যুযুধান তৃণমূল কংগ্রেস আর বিজেপি। রাজ্যে শাসকদলের প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই কারণেই বৈঠক এড়িয়ে যেতে পারেন বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এই বৈঠক এমন সময় ডাকা হয়েছে যখন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী দেশে দৈনিক সংক্রমণের গড় প্রায় ১ লক্ষের কাছাকাছি গিয়ে পৌঁছেছে। আক্রান্ত রাজ্যগুলির ক্রমতালিকায় বাংলার স্থান আট নম্বরে হলেও সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে এই রাজ্যে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যন অনুযায়ী বাংলায় আক্রান্তের সংখ্যা গত ২৪ ঘণ্টায়া বাংলার আক্রান্তের সংখ্যা ২৩৯০। মৃত্যু হয়েছে আট জনের। রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লক্ষেরও বেশি। মৃতের সংখ্যা ১০ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানান হয়েছে আক্রান্ত রাজ্যগুলির ক্রম তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মহারারাষ্ট্র পরেরে দুটি রাজ্য হল কেরল ও কর্ণাটক। মহারাষ্ট্রের করোনা-পরিস্থিতি নিয়ে বেশ কয়েকবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।