সংক্ষিপ্ত

  • করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ 
  • ভোটে মানা হচ্ছে না করোনা গাইডলাইন 
  • সংক্রমণ বাড়ছে বলেও দাবি স্বাস্থ্য কর্তার 
  • রাজনৈতিক নেতাদের সচেতন হওয়ার বার্তা 

ডালিয়া সরকার, প্রতিনিধি,  ভোট প্রচারে কোভিড স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলছে জনসভা, প্রচার, মিছিল। আর তাতেই উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। তেমনই দাবি করলেন উত্তরবঙ্গের ওএসডি সুশান্ত রায়। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক চিকিৎসক রমেন্দ্রনাথ প্রামানিককে পাশে বসিয়ে উত্তরঙ্গের করোনা সংক্রমণ নিয়ে আশনিসংকেত দিলেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি বলেন অবিলম্বে সংযত না হলে পরিস্থিতি হাতের বাইরেযেতে বেশি সময় নেবে না। 

স্বাস্থ্য কর্তাদের অভিযোগ সভা, জনসভা আর মিছিলেন কারণেই করোনা সংক্রমন বাড়ছে উত্তরবঙ্গে। ভোট গননার পর আরও বাড়বে এই সংক্রমণ। তেমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। করোনা সংক্রমনে এই মুহুর্তে মালদা সবার শীর্ষে রয়েছে। দার্জিলিং জেলা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর দিনাজপুর। একটা সময় উত্তরবঙ্গ প্রায় করোনামুক্ত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে হাসপাতালগুলিতে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। যা নিয়ে  উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য কর্তা।

'বিজেপি ভোট জেতার মেশিন নয়', দলের ৪১তম প্রতিষ্ঠা দিবসে বার্তা নরেন্দ্র মোদীর ..

নিমতিতাকাণ্ডে আঙুল হারিয়ে স্টেচারে শুয়েই মনোনয়ন পেশ জাকির হোসেনের, দেখুন সেই ছবি ...

তাঁর কথায়  ভোট প্রচারে রীতিমত বুড়ো আঙুল দেখান হচ্ছে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধিকে। যারা মঞ্চে বসে থাকছেন, তারাও স্বাস্থ্য বিধি মানছেন না।যারা মঞ্চের নিচে বসে থাকছেন তারাও কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। তাই বাড়ছে করোনা। রাজনৈতিক সংঘর্ষও আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ সেই সময়ও অনেকে সংক্রমিত হতে পারে। 

  ভোটের প্রচারের কোভিড স্বাস্থ্যবিধি নানা হচ্ছে না বলেই করোনা সংক্রমন ফের বাড়তে শুরু করেছে। এখনি এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে ২ মে ভোট গননার পর থেকে করোনা সংক্রমন আরও উর্ধমুখী হবে।রাজনৈতিক দলের নেতা ও প্রার্থীরা যাতে নিজেদের প্রচারে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা,মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক করেন তাহলে সংক্রমন অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব। এই মুহুর্তে মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলায় নতুন করে করোনা পজিটিভ রোগির সংখ্যা প্রায় ৭০০ জনের কাছাকাছি। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ রমেন্দ্রনাথ প্রামানিক কে পাশে নিয়ে এই আশঙ্কার খবর শুনিয়েছেন স্বাস্থ্য দপ্তরের উত্তরবঙ্গের ও এস ডি ডাঃ সুশান্ত রায়। 

নির্বাচনের দিন নির্বাচন কমিশন কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোট করানোর ব্যবস্থা করছেন ঠিকই।কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলির প্রচারে, মিছিলে যেভাবে জমায়েত  করা হচ্ছে তাতে স্বাস্থ্য বিধি না মানায় সংক্রমণ বাড়ছে।সরকারি হাসপাতালে উত্তরবঙ্গে এই মুহুর্তে ৭০০ টি বেড আছে। কিন্তু রাজনৈতিক নেতারা বিষয়টি নিয়ে অবিলম্বে যাতে সচেতন হন, সেই আশাই স্বাস্থ্য দফতর করছে বলেও জানান হয়েছে।