শুক্রবারই তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন হয়েছে মুকুল রায়ের। আর নিজের পুরোনো ঘরে ফিরে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি। বাবার সঙ্গে তৃণমূলে ফিরেছেন শুভ্রাংশু রায়ও। তারপরই মুকুল ঘনিষ্ঠ অনেকেই বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসার জন্য যোগাযোগ করেছেন বলে সূত্রের খবর। আর ইতিমধ্যে অনেকেই আবার ইস্তফাও দিয়ে দিয়েছেন। এমনকী, অভিষেকের হাতে মুকুল ৩৫জন বিজেপি নেতার তালিকা তুলে দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। যদিও বাছবিচার করে তবেই দলত্যাগীদের তৃণমূলে ফেরানো হবে বলে শুক্রবারই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-কমছে কোভিড, লকডাউন নিয়ে সোমবার সিদ্ধান্ত জানাতে পারে নবান্ন, কী কী ছাড় দিতে পারেন মমতা
মুকুল তৃণমূলে ফেরার পর থেকে এখন অনেকেই পুরোনো দলে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করছেন। কাউকে প্রকাশ্যেই বেসুরো হতে দেখা যাচ্ছে, আবার কেউ যোগযোগ করছেন গোপনে। তবে যতই আগ্রহ বাড়ছে ততই বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। এখনও পর্যন্ত দলে ফিরতে চেয়ে যাঁদের উদ্যোগ প্রকাশ্যে এসেছে তাঁদের মধ্যে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সোনালি গুহ অন্যতম। টুইট করে কয়েকদিন আগেই নিজের 'ভুল' স্বীকার করে নিয়েছিলেন সোনালি। এছাড়া ফেরার ইচ্ছাপ্রকাশ করে মমতাকে চিঠি দিয়েছিলেন দীপেন্দু বিশ্বাসও। তবে রাজীব শুধু বিজেপির সমালোচনা করে টুইটই করেননি, গতকাল কুণাল ঘোষের বাড়িতেও গিয়েছিলেন তিনি। যদিও তাঁদের দলে ফেরানো নিয়ে তৃণমূল শীর্ষনেতৃত্বের মনোভাব এখনও পর্যন্ত ইতিবাচক নয়। আর এর ইঙ্গিত মিলেছিল শুক্রবারই। সেইদিনই স্পষ্টভাবে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, "যাঁরা গদ্দারি করেছেন, চরমপন্থী, নিম্নরুচির পরিচয় দিয়েছেন, তাঁদের নেব না।"
এদিকে পুরোনো দলে ফেরার পর থেকেই সক্রিয় মুকুল রায়। শনিবার ছেলে শুভ্রাংশুকে নিয়ে অভিষেকের অফিসে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে দীর্ঘক্ষণ অভিষেকের সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরতে চান এমন ৩৫জন নেতার তালিকা ওই বৈঠকে অভিষেকের হাতে তুলে দিয়েছেন মুকুল। যে সব নেতাদের নামের তালিকা দেওয়া হয়েছে তাঁদের মধ্যে অনেকেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। আবার এমনও অনেকজন রয়েছেন যাঁরা বরাবরই বিজেপিতে ছিলেন। আরও যাঁরা ফেরার পথ খুলতে চাইছেন বলে গুঞ্জন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বিশ্বজিৎ দাস, সুনীল সিংহ, প্রবীর ঘোষাল। যদিও তাঁরা কেউই সরাসরি দলবদল নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। শোনা যাচ্ছে, তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন সব্যসাচী দত্তও।
যদিও কাদের দলে ফেরানো হবে তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েকদিন আগে সাংগঠনিক বৈঠকে এই সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে। সম্পূর্ণ বাছবিচার করে তবেই দলে ফেরানো হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন নেত্রী।