ডিসেম্বরের গোড়ার দিকে তাঁকে নিয়ে জল্পনা চলছিল রাজ্য রাজনীতিতে। শুভেন্দুর সঙ্গে তিনিও বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছেন। যেদিন শুভেন্দু অধিকারী বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। ঠিক তার পরের দিনই আসানসোলের পুর-প্রশাসকের দায়িত্ব ছাড়েন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। ওইদিন দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। কিন্তু, শেষমেষ বিজেপি যোগদান তাঁর আর হয়ে ওঠেনি। এই অবস্থায় মমতার সঙ্গে আছেন বলে বারবার প্রকাশ্যে জানান তিনি। কিন্তু, তিনি পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক হলেও তৃণমূলের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের তালিকায় নাম নেই জিতেন্দ্রর।
আরও পড়ুন-১ জানুয়ারি BJPতে যোগ দিচ্ছেন সৌম্যেন্দু অধিকারী, এবার শুভেন্দুর বাড়িতেও ফুঁটতে চলেছে পদ্ম
নতুন বছরের গোড়ায় পাণ্ডবেশ্বরেই ২ জানুয়ারি সাংগঠনিক সভা রয়েছে তৃণমূলের। কিন্তু সেই সভার অনুষ্ঠানের তালিকায় আমন্ত্রিতদের তালিকায় নাম নেই জিতেন্দ্র তিওয়ারির। পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার বিধায়ক তিনি। অথচ, তাঁকেই আমন্ত্রণ করছে না তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের ওই সভায় মূল বক্তা রয়েছেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। আমন্ত্রিত রয়েছেন মলয় ঘটক, দুর্গাপুরের প্রাক্তন মেয়র অপূর্ব ভট্টাচার্য। কিন্তু নেই শুধু জিতেন্দ্র।
আরও পড়ুন-রাতের অন্ধকারে ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি, কি কারণে হামলা, রহস্য উদঘাটনের চেষ্টায় পুলিশ
পাণ্ডবেশ্বরে তৃণমূলের সভায় বিধায়ককেই আমন্ত্রণ না জানানোই নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে তাঁকে নিয়ে। বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে মতবিরোধের কারনে বিজেপির সঙ্গে আগেই দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এবার তৃণমূলও তাঁর সঙ্গে বড়সড় দূরত্ব বজায় রাখছে। এই অবস্থায় জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, দল আর আমাকে বিশ্বাস করতে পারছে না। এই অবস্থায় জিতেন্দ্র তিওয়ারির রাজনৈতিক অবস্থান কোন জায়গায় দাঁড়ায়। এখন সেটাই দেখার অপেক্ষা।