
পুরভোট নিয়ে বাংলার মাটিতে ক্রমেই বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। রাজ্য সরকারের প্রস্তাব মেনে ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা ও হাওড়া পুরসভায় ভোটের (Municipal Polls) সম্মতি দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন(Election Commission)। কিন্তু গোঁঝ প্রার্থী নিয়ে চিন্তিত তৃণমূল (Trinamool-Congress)। কেউ গোঁজ প্রার্থী দেওয়ার চেষ্টা করে তাহলে তাদের চামড়া গুটিয়ে নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিতে দেখা যায় বনগাঁর (Bangaon) তৃণমূল নেত্রী আলো রানী সরকারকে।
জল্পনা চলছিলই। অবশেষে রাজ্য সরকারের প্রস্তাব মেনে ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা ও হাওড়া(howrah) পুরসভায় ভোটের সম্মতি দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। যদিও রাজ্যের আরও শতাধিক পুরসভায় কবে ভোট হবে তা নিয়ে নির্দিষ্ট কিছু জানায়নি কমিশন। তবে ভোট যে আসন্ন তা বুঝতে বিশেষ অসুবিধা হচ্ছে না কারোরই। এমতাবস্থায় এবার ভোট নিয়ে তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলা সভানেত্রীর কথায় বনগাঁয় নতুন করে বাড়ল রাজনৈতিক উত্তাপ।
আরও পড়ুন - সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা বিপ্লব দেবের, পুর ভোটে সব প্রার্থীকেই দিতে হবে নিরাপত্তা
আরও সহজ ভাবে বললে গোটা রাজ্যে পুর ভোটের দিনক্ষণ এখনও জানা না গেলেও নির্বাচনী ময়দানে গোঁজ প্রার্থী নিয়ে চিন্তিত তৃণমূল-কংগ্রেস(TMC)। আর তাই যেন আরও স্পষ্ট হল বনগাঁ সংসদীয় জেলার সভানেত্রী আলো রানী সরকারের কথায়। তাঁর দাবি পুরভোটে দলের কেউ গোঁজ প্রার্থী দিলে তা শক্ত হাতে দমন করা হবে। এমনকী কেউ যদি গোঁজ প্রার্থী দেওয়ার চেষ্টা করে তাহলে তাদের চামড়া গুটিয়ে নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিতে দেখা যায় তাঁকে। এদিকে তাঁর এই মন্তব্যের পর তা নিয়ে জোরদার আলোচনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। এমনকী গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের চাপ সামলাতে না পেরেই আলো রানী দেবী এমন মন্তব্য করেছেন বলে কটাক্ষবান শানিয়েছে বিজেপিও(BJP)।
আরও পড়ুন - শ্রাবন্তীকে মুখ্যমন্ত্রী খুবই পছন্দ করেন- রাজ চক্রবর্তীর মন্তব্য দিচ্ছে কোন ইঙ্গিত
বৃহঃষ্পতিবার গাইঘাটার একটি অনুষ্ঠানে এসে তিনি দলীও নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, “পুরভোটে কোনোরকম গোজ প্রার্থী দেওয়ার চিন্তা করলে তাদের চামড়া আমি গুটিয়ে নেব। দলের অনুশাসন আছে। অনুশাসন যারা মানবে না, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতেই হবে।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এ দিন গাইঘাটার অনুষ্ঠানে আলো রানীর মন্তব্যের সময় তাঁর পাশেই ছিলেন বনগাঁর প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য। সম্প্রতি এই শঙ্করকেই পুরপ্রশাসকের পদ থেকে সরিয়ে দেয় তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। তার জায়গায় পুরপ্রশাসক হিসাবে বসানো হয় গোপাল শেঠকে। যা নিয়েই দানা বাঁধছিল নানা জল্পনা।
আরও পড়ুন - 'বাংলার জন্য কোনও পদক্ষেপ নেই', বিজেপি সঙ্গ ত্যাগ শ্রাবন্তীর
অনেকে এও বলতে শুরু করেছিলেন নির্দল প্রার্থী হিসাবে পুরভোটে লড়তে পারেন শঙ্কর। যদিও এই বিষয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে এখনও পর্যন্ত বিশেষ কোনও উচ্চবাচ্য করতে দেখা যায়নি। সেখানে আলোরানীর মন্তব্য যে বিশেষ ভাবে তাত্পর্যপূর্ণ তা আর বলার অপেক্ষা রাথে না। এদিকে বনগাঁ লোকসভার অন্তর্গত সাতটি বিধানসভার মধ্যে একমাত্র স্বরূপনগর আসনটি ২০২১ সালে তৃণমূল দখল করতে পেরেছে। তার বাইরে কল্যাণী, হরিণঘাটা, গাইঘাটা, বাগদা, বনগাঁ উত্তর ও দক্ষিণ সহ ছ’টি বিধানসভাই রয়েছে বিজেপির দখলে। তার তাতেই চাপ বেড়েছে ঘাসফুল শিবিরে। এদিকে আলো রানীর মন্তব্যের পর একটানা কটাক্ষবান শানাতে দেখা গিয়েছে বিজেপিকে। পদ্ম শিবিরের দাবি, বনগাঁ থেকেই যেন ঝিঁ মেরে বউকে শিক্ষা দেওয়ার নতুন ‘সিস্টেম’ চালু করল তৃণমূল।