কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে এবার ভোটারদের ব্যাপক মারধরের অভিযোগ উঠল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ও আতঙ্ক ছড়িয়েছে রায়গঞ্জ বিধানসভার বাহিন গ্রামপঞ্চায়েতের লহুজগ্রাম এলাকায় ৩৫/২৪ নম্বর বুথে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর মারধরের হাত থেকে বাদ যায়নি মহিলা ও শিশুরাও। কেন্দ্রীয় বাহিনী ভাঙচুর করেছে ভোটকেন্দ্রের বেশ কিছুটা দূরে থাকা তৃনমূল কংগ্রেসের একটি নির্বাচনী কার্যালয়ও। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশবাহিনী। গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর এই আচমকা আক্রমনে ক্ষুদ্ধ এলাকার বাসিন্দারা।
সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহন চলছিল রায়গঞ্জ বিধানসভার লহুজগ্রাম ৩৫/২৪ নম্বর বুথে। বুথের ১০০ মিটার দূরেই তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে ভোটার ও দলীয় কর্মীদের ভীড় জমেছিল। এক ভোটারকে চিনতে না পারা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে প্রথম বিবাদ বাধে। তারপরই তৃণমূলের ক্যাম্প অফিসের সামনে ভিড় জমে যায়। দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীরা সেখান থেকে গ্রামবাসীদের সরে যেতে বললেও তারা যায়নি। এরপরই কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেই ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। ভাঙচুর করা হয় তৃনমূলের অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের মারধরে গ্রামের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা আহত হন। অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাসিন্দাদের রোষে বাদ যায়নি মহিলারাও। এই ঘটনাকে কেন্দ্র লহুজগ্রাম এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন এলাকার ভোটাররা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রায়গঞ্জ থানার বিশাল পুলিশবাহিনী।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায় অন্যবারের মত এবারও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ হচ্ছিল। এই গ্রামে অন্যকোনও বার এত পুলিশ বা কেন্দ্রীয় বাহিনী আসে না। কিন্তু এবার এসেছে। গ্রামবাসীদের কথায় এবার একদম অন্যরকম ভোট হচ্ছে। কি হচ্ছে তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী।