করোনা আক্রান্ত হলেন রাজ্য়ের বিদায়ী ক্রেতা-সুরক্ষা দফতরে মন্ত্রী তথা মানিকতলার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সাধন পান্ডে। মন্ত্রীর পরিবার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তীব্র শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন তিনি। এরপরেই বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে মন্ত্রীকে ভর্তি করা হয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার পর কোভিড টেস্ট করতেই রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
আরও পড়ুন, ভোট কেন্দ্রে কোভিড বিধি না মানলে কড়া ব্যবস্থা, তৃণমূলের দাবি খারিজ কমিশনের
বুধবার কোভিডের ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন মানিকতলার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সাধন পান্ডে। ভ্য়াকসিন নেওয়ার পর নির্বাচনী প্রচারও করেছেন তিনি। কিন্তু বৃহস্পতিবার ষষ্ঠ দফার ভোটের সকালে অসুস্থ বোধ করেন তনি। সামান্য শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা এবং শরীরে ব্যথা অনুভব করেন সাধন। এরপেরই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। এদিকে রিপোর্ট আসার আগে এদিনই বাড়ি ফিরতে চাইছিলেন এবং ইচ্ছা ছিল বিকেলেই নির্বাচনী প্রচারে বেরোনোর। সাধন পান্ডের পরিবারের সদস্যরা আগে জানিয়েছিলেন, বিশ্রামে থাকতে রাজি হচ্ছিলেন না কোভিড রিপোর্ট আসার আগে রাজ্য়ের মন্ত্রী। কিন্তু এখন রিপোর্ট পজিটিভ আসায় এখন তিনি পুরোপুরি চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন, 'ভ্যাকসিনের ঘাটতি', রেলের হাসপাতালগুলিতে তুমুল বিক্ষোভ, নামানো হল জওয়ান
এদিকে রাজ্য়ে ক্রমশই ভয়াবহ হয়ে উঠছে করোনা। বুধবারের স্বাস্থ্য দফতরের কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে একদিনে আক্রান্ত ১০ হাজার ৭৩৪। এর মধ্য়ে কলকাতাতেই আড়াই হাজারের উপর আক্রান্ত হয়েছে করোনায়। তবে এবার ভোটের মাঝেই রাজ্যের একাধিক প্রার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে আরও মর্মান্তিক খবর এটাই যে, করোনায় প্রাণও হারিয়েছেন একুশের নির্বাচনের দুই প্রার্থী। উল্লেখ্য, ১৫ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় সামসেরগঞ্জ বিধানসভার কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হকের। আর তারপরেই মৃত্যু হয় আরএসপি প্রার্থী প্রদীপ নন্দীর। এদিকে চলতি সপ্তাহেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী এবং তৃণমূলের আরও এক প্রার্থী মদন মিত্রও।