মতুয়াদের নাগরিকত্ব ইস্যুতে গেরুয়া শিবিরের বিধায়ক-সাংসদের মধ্যে চড়ল পারদ। বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর মতুয়াদের সঙ্গে দলের ব্ল্যাকমেল করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছিলেন বনগাঁর বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। এবার তারই পাল্টা তোপ দিলেন শান্তনুও।
আরও পড়ুন, 'দীনেশকে শুধু নোবেল দেওয়াই বাকি ছিল মুখ্যমন্ত্রীর', 'বিশ্বাসঘাতক' তকমা দিলেন মদন
বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা মতুয়া সংঘের অন্যতম সংঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুর পাল্টা অভিযোগ এনে বলেছেন, 'বিশ্বজিৎ দাসকে এভাবে বিরুদ্ধ মত পোষণ করতে কেউ বা কারা উসকানি দিচ্ছেন। কাদের চাপে পড়ে তিনি এমনটা করছেন, সেটা আগে বলুন। তিনি আরও বলেন শান্তনু ঠাকুর দলের সঙ্গে প্রতারণা করছেন। মতুয়াদের ব্যবহার করে দলের উপর অন্যায়ভাবে চাপ সৃষ্টি করছেন বিশ্বজিৎ। দলের সঙ্গে ব্ল্যাকমেল করে বনগাঁকে আলাদা সাংগঠনিক জেলা করিয়েছেন। দলকে তিনি রাস্তায় এনে দাঁড় করিয়েছেন।
অপরদিকে, সিএএ ইস্যুতে বিশ্বজিৎ বলেন, সিএএ নিয়ে শান্তনু অনেক কিছু বলেছেন। বলেছেন আজই সিএএ চালু করতে হবে। আমি মনে করি, যারা ভোট দেন, তাঁরা সকলেই নাগরিক। তাঁদের ভোটেই আমি বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছি। তাঁরা তো আর অবৈধ নাগরিক নন', পাল্টা তোপ আসে ওপার থেকেও। এর জবাব দিতে গিয়ে শান্তনু ঠাকুর বিশ্বজিৎকে সতর্ক করে বলেছেন, কে কার সঙ্গে প্রতারণা করছে, তা মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষকেই জিজ্ঞেস করলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে। সিএএ নিয়ে দল যা ঠিক মনে করছে, তাই করছে, বলে দাবি করেন শান্তনু।
আরও দেখুন, Election Live Update-মোদী-শাহ-র প্রশংসায় পঞ্চমুখ দীনেশ, দিল্লিতে দিব্যেন্দুও, জল কোন দিকে
প্রসঙ্গত, বিধায়ক-সাংসদের মধ্যেই শুধু পারদ চড়েনি, চড়েছে দলের অন্দরেও। কারণ সম্প্রতি বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে ঢোকার পর তাঁকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন বঁনগার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। প্রায় ২২ মিনিট মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। এরপরেই খাদ্যমন্ত্রী জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিক ও পার্থ ভৌমিককে নিজের ঘরে ডেকে নিতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে ঢোকেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এমনকি, মুখ্যমন্ত্রীর ঘর থেকে বেরিয়ে ভিক্ট্রি সাইন দেখান বিশ্বজিৎ। এরপরেই জল্পনা শুরু হয় বিজেপির বিধায়কের তৃণমূলে যোগদান নিয়ে।