দলত্যাগের আগে শুভেন্দু যখন দল থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছিলেন। সেই সময় তাঁর মানভঞ্জনের চেষ্টায় অনবরত বৈঠক করেছিলেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়। সমস্য়া সমাধানের জন্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবেও বহুবার চেষ্টা করেছিলেন শুভেন্দুকে ঘরে রাখার। কিন্ত, তৃণমূলের সব চেষ্টায় জল ঢেলে দিয়ে শেষমেষ অমিত শাহের সভায় গিয়ে গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তারপরই, সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায় চ্যালেঞ্জ করেছিলেন ক্ষমতা থাকলে নন্দীগ্রাম থেকে পুনরায় জিতে দেখান শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন-নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হচ্ছেন মমতা, সভা থেকে নিজেই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী
শুভেন্দুকে জবাব দিতে গত ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে সভা হওয়ার কথা ছিল তৃণমূল নেত্রীর। কিন্তু শেষ মহূর্তে সভা স্থগিত হয়ে যায়। প্রস্তাবিত সেই সভা সোমবার করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। নন্দীগ্রামে তেখালি মাঠে দাঁড়িয়ে নন্দীগ্রামের মাটিকে যে তিনি ভোলেনি তা স্পষ্ট বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে ভোটপ্রার্থী হচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী। সভায় দাঁড়িয়ে নিজেই সেকথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-'ওয়াশিং পাউডার ভাজপা', BJP-র অন্তরালে নাম না করে শুভেন্দুকে আক্রমণ মমতার
এরপরই, শুভেন্দুকে নিশানা করে তীব্র কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেন,'বাপের বেটা হলে, নন্দীগ্রাম থেকে লড়ে দেখা'। প্রসঙ্গত, শুভেন্দুর দলবদলের পর তাঁর নিজের গড় কাঁথিতে সভা করেছিলেন তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতারা। সেখানে ছিলেন সৌগত রায়, ফিরহাদ হাকিম সহ আরও অনেকে। নন্দীগ্রামে মমতা ভোটপ্রার্থী হওয়ায় কার্যত অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির।