বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই তাঁর নিশানায় অভিষেক। প্রতিটি সভা থেকে তাঁকে 'তোলাবাজ ভাইপো' বলে কটাক্ষ। এক জায়গায় নয়, শুভেন্দু অধিকারী যত জায়গায় সভা করেছেন প্রতিটি জায়গা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও অভিষেককে আক্রমণের মূল নিশানা করেছেন শুভেন্দু। কিন্তু এবার ঘটল উল্টো ঘটনা। শুভেন্দুকেই 'তোলাবাজ' বলে কটাক্ষ করে পোস্ট হল সোশ্য়াল মিডিয়ায়। তার জেরে মুর্শিদাবাদের রাজনীতিতে নতুন দ্বৈরথ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন-জনগণের করের টাকা ক্লাবগুলিকে বিতরণ, এভাবে কি ভোট বৈতরণী পার করতে পারবেন মমতা
মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল নেত্রী শাহনাজ বেগম সোশ্য়াল মিডিয়ায় শুভেন্দুকে কটাক্ষ করে পোস্ট করেন। তারপরই, শুভেন্দুর তরফে আইনি নোটিস পাঠানো হয় শাহনাজ বেগমে। আইনি চিঠিতে বলা হয়েছে, ''এক সপ্তাহের মধ্যে তৃণমূল নেত্রীকে শাহনাজ বেগমকে তাঁর মন্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। পাশাপাশি মৌখিক বা লিখিত ভাবে ক্ষমা চাইতে হবে। তা না হলে মুর্শিদাবাদের তৃণমূল সভানেত্রী শাহনাজ বেগমের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে''। শুভেন্দুর তরফে তাঁর আইনজীবী ওই নোটিস পাঠিয়েছেন।
আরও পড়ুন-'দিদি আমাদের চাকরি দিন, নাহলে মৃত্যু দিন', মমতার সভায় পোস্টার দেখে পুলিশের তৎপরতা
এই বিষয়ে তৃণমূল নেত্রী শাহনাজ বেগম বলেন, ‘‘আমি নোটিস মেনে কোনও কাজই করব না। সে জন্য যদি আইনি পথে লড়তে হয় তবে তা করতেও রাজি আমি। সেই পথেই এগোবো"। তৃণমূল নেত্রী লিখেছিলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী মুর্শিদাবাদে এসে প্রমাণ দিন যে উনি নিজে তোলাবাজ নন’। সেই পোস্ট সরিয়ে নেওয়ার জন্য আইনিজীবী মারফত আইনি নোটিস শুভেন্দু অধিকারীর। এরপরই যাবতীয় জটিলতার শুরু হয়। এই ব্যাপারে শাহনাজ জানান, ''নোটিস অনুযায়ী আমাকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। তবে কোনভাবেই ক্ষমা চাইবো না''। বরং শুভেন্দুকে ‘তোলাবাজ’ প্রমাণ করার যে আহ্বান তিনি জানিয়েছেন।