জনসভায় বক্তব্য রাখছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রায়গঞ্জ স্টেডিয়ামে ভরা সভায় দাঁড়িয়ে বিরোধী দলগুলিকে কটাক্ষ করছিলেন মমতা। রাজ্যের কর্মসংস্থান নিয়ে নানান পরিসংখ্যান দিচ্ছিলেন। কিন্ত, সভার মাঝে আচমকা ছন্দপতন। সভার মাঝে পুলিশের নজরে এল "দিদি আমাদের চাকুরি দিন, নয় মৃত্যু দিন, আমাদের নিয়োগপত্র দিয়ে বাঁচান"। সাদা কাগজে লালকালিতে লেখা এই পোস্টার দেখে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে মমতার সভায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামে পুলিশ।
আরও পড়ুন-খাগড়াগড় বিস্ফোরণ মামলায় রায় ঘোষণা করল আদালত, দোষী সাব্যস্ত কওসরের ২৯ বছরের জেল
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার জেরে পুলিশ সভাস্থল থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করে।জানাগেছে,মমতার সভায় যাঁরা চাকরির আবেদন করছিলেন তাঁরা আসলে গ্রুপ ডি চাকরি প্রার্থী। ২০১৬ সালে রাজ্যে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যে ষাট হাজার যুবক যুবতীকে গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ করা হবে। লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে ষাট হাজারের বদলে ৬ হাজার গ্রুপ ডি-র ইন্টারভিউ হয়েছিল। তারমধ্যে ৫,৪২২ জনের নিয়োগ হয়েছে। অথচ বাকি ৫৭৮ জন চাকুরি প্রার্থী আজও নিয়োগ পাননি। গ্রুপ ডি পদের সেই চাকুরিতে নিয়োগের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন রাজ্যের ২০ টি জেলার ৫৭৮ জন চাকুরি প্রার্থী। ইতিমধ্যে তাঁরা কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে শুরু করে নবান্নেও গিয়েছিলেন। গ্রেফতার বরণও করতে হয়েছিল তাঁদের। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি।
আরও পড়ুন-ধার-দেনার কারণে আত্মঘাতী সন্তান সহ মা-বাবা, তদন্তে নামল ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ
রায়গঞ্জে মমতার সভায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির জেরে সাময়িক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। সাদা কাগজে লালকালিতে লেখা পোস্টারগুলি দৃষ্টি আকর্ষণ করে সভাস্থলে থাকা সকলের। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাওয়ার আগেই চাকরি প্রার্থীদের আটক করে পুলিশ। জনসভায় বক্তব্য চলাকালীন এই ঘটনায় বিরক্তি প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। পুলিশ চাকরি প্রার্থী আন্দোলনকারীদের আটক করে ৷ চাকুরি প্রার্থী নয়ন রায় বলেন, ''আমরা মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছিলাম। তবে, এভাবে আমাদের আটক করে চাকুরির জন্য আন্দোলনকে প্রতিহত করা যাবে না। আমরা এই চাকুরির দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব''।