তাপস দাশঃ- তারকেশ্বরের মত এলাকাকে ভোটবাজারে আকর্ষণের কেন্দ্র করে তুলেছেন বিজেপির স্বপন দাশগুপ্ত । পুরুষ্টু গোঁফের দমকলমন্ত্রী প্রতিম চট্টোপাধ্যায়কে অনেকেরই মনে থাকবে। তিনি বাম সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। আর তাঁর দল ছিল মার্ক্সবাদী ফরোয়ার্ড ব্লক। তারকেশ্বর ছিল মার্ক্সবাদী ফরোয়ার্ড ব্লকের দুর্গ। ১৯৬৭ সাল থেকে এখানে জিততেন রাম চট্টোপাধ্য়ায়।
আরও পড়ুন, সাগরদিঘীতে অশনি সংকেত, 'হাত' আর 'পদ্ম' কাঁটায় ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কায় জোড়া ফুল
১৯৭২ সাল বাদ দিয়ে ২০০৬ সাল পর্যন্ত মার্ক্সবাদী ফরোয়ার্ড ব্লক এখানে জিতেছে। রাম চ্যাটার্জির পর জিততেন শান্তি চট্টোপাধ্য়ায়, তারপর প্রতিম। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০৬ পর্যন্ত টানা তিনবার জিতেছিলেন ২০১৮ সালে প্রয়াত হওয়া এই নেতা। ২০১১ সালে এখানে দখল নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। জিতেছিলেন পুলিশ অফিসার থেকে তৃণমূল নেতা হওয়া রচপাল সিং। ২০১৬ সালেও তিনিই জেতেন এই কেন্দ্রে।
আরও পড়ুন, 'কয়লাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত পিসি-ভাইপো', ৯০০ কোটি লুটের অভিযোগ শুভেন্দুর
এবার এই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছেন রমেন্দু সিংহরায়। সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী সিপিএমের সুরজিৎ ঘোষ। কিন্তু তারকেশ্বর কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে এঁদের কারও জন্য নয়। বিজেপি এবার সেখানে দাঁড় করিয়েছে তাদের সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তকে। স্বপন দাশগুপ্তের বিরুদ্ধে সব দলই প্রচার করছে যে তিনি বহিরাগত। স্বপন বলছেন, ভারতে সে হিসেবে দেখতে গেলে, সবাই নিজের বাড়ির বাইরে বহিরাগত।
আরও পড়ুন, কয়লাপাচার কাণ্ডে পুলিশ আধিকারিককে গ্রেফতার করল ED, ওদিকে লালাকে ফের তলব CBI-র
২০১১ সালের ভোটে এখানে বিজেপি ৪৫০৪ ভোট পেয়েছিল। পাঁচ বছর পর, ২০১৬ সালে এখানে বিজেপি পায় প্রায় ১৮ হাজার ভোট। তারকেশ্বর কেন্দ্রটি আরামবাগ লোকসভার অন্তর্গত। ২০১৯ সালে এখানে বিজেপি সামান্য ব্যবধানে পরাজিত হয়। ভোটের ফলের হিসেবে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছিল ৪৪.১৫ শতাংশ ভোট, বিজেপির ভোট শেয়ার ছিল ৪৪.০৮ শতাংশ। তার মধ্যে তারকেশ্বর বিধানসভা এলাকায় বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের ব্যবধান ছিল মাত্র ৫ হাজারের মত।
আরও পড়ুন, ভোট বাজারে এবার বাম্পার অফার, খানাকুলে 'লক্ষীর ভান্ডার' করে দেবার প্রতিশ্রুতি মমতার
অক্সফোর্ড পাশ করা অ্যাকাডেমিশিয়ান স্বপন দাশগুপ্তের নাম বারবার বিজেপি সরকারের সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী উঠে এসেছে। তবে বাবা তারকনাথের কতটা কৃপা তাঁর উপর ভোটের মেশিন হয়ে বর্ষাবে, তা জানা যাবে ২ মে-তে।