নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর থেকেই আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ করা হচ্ছে। বিজেপির বিরুদ্ধে এমনই গুরুতর অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল তৃণমূল কংগ্রেস। এই মর্মে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র ডেরেক ওব্রায়ন একটি চিঠি লিখেছেন নির্বাচন কমিশনকে। সেই চিঠিতেই নির্বাচন কমিশনকে সবকটি রাজনৈতিক দলের কাছে নির্বাচনকে 'সুষম প্রতিযোগিতামূলক ক্ষেত্র' তৈরি করে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। তিনি বলেন বলেছেন বিজেপি গত পাঁচ বছর ধরে চলায় বিচারাধীন মামলায় ইচ্ছেকৃতভাবে তলব করছে। বা ঝামেলায় ফেলছে। তাতে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
ডেরেকের লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে আদর্শ আচরণবিধি সাত নম্বর অংশে রয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য ক্ষমতায় থাকা দল নির্বাচনে সুবিধে পাওয়ার জন্য সরকারি সংস্থার সাহায্য নিতে পারবে না। কিন্তু দুঃখের বিষয় কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলটি এটি বারবার লঙ্ঘন করছে। তৃণমূল নেতা বলেছেন, একই অভিযোগে নাম থাকে ভারতীয় জনতা পার্টির কোনও প্রার্থী, নেতা বা মুখপাত্রকে একবারের জন্যও সমন পাঠায়নি কেন্দ্রীয় সংস্থা। অথচ তৃণমূল নেতা কর্মী ও প্রার্থীদের একাধিকবার তলব করা হয়েছে। তিনি বলেন বিজেপি, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে। রাজ্যের ভোটারদের প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যেই এই পন্থা অবলম্বন করা হয়েছে। তিনি বলেন পুলিশ এখন নির্বাচন কমিশনে অধীনে রয়েছে। বিচারাধীন মামলায় পক্ষপাতদুষ্ট বা পক্ষপাতমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সংস্থা যেমন, ইডি, সিবিআই, এনআইএ, আয়কর বিভাগকেও প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা জারির করার আবেদন জানিয়েছেন। ডেরেকের আরও অভিযোগ হল প্রধানমন্ত্রীল নরেন্দ্র মোদী,কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, নিতিন গড়করি, স্মৃতি ইরানি, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ- এঁরা সকলেই বিজেপি স্টার প্রচারক। কিন্তু এঁরা প্রত্যেকেই এই রাজ্যে ভোট প্রচারের জন্য প্রশাসনকে ব্যবহার করছেন। আর সেই কারণ তুলে তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে আর্জি জানিয়েছেন এই রাজ্যে ভোটের জন্য একটি সুষম প্রতিযোগিতামূল ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে। আর তার ব্যবস্থা করে দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।
কেন্দ্রের টাকা আটকে গেছে 'ভাইপো উইন্ডোতে', কাঁথিতে বাংলায় পরিবর্তনের স্লোগান মোদীর .
'প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারকে আগে সম্মান করতাম কিন্তু...', বিষ্ণুপুরের সভা থেকে মোদীকে তোপ মমতার ...
দিন কয়েক আগেই সরদাকাণ্ডে অভিযুক্ত মদন মিত্রকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল ইনফোর্টমেন্ট ডিরেক্টর বা ইডি। তৃণমূলের কামারহাটির প্রার্থীকে তলবের কয়েক দিন পরেই ডেরক বিষয়টি নিয়ে চিঠি লিখখেন নির্বাচন কমিশনকে। যদিও সেই সময় মদন মিত্র বলেছিলেন কেন্দ্রীয় সংস্থা ডাকলে তিনি আসতে বাধ্য। তবে ভোটের সামনে এজাতীয় সমন খুবই সমস্যা তৈরি করে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।