তাপস দাস: কমলি নেহি ছোড়েগি। ২০১৬ সালে হেরেছিলেন, তাতে কী! এবার ফের প্রার্থী তিনি। জিতবেনই, আশাবাদী। সোহম চক্রবর্তী- তৃণমূল প্রাথী। সোহম চক্রবর্তী,রুপোলি পর্দার জনপ্রিয় মুখ। তৃণমূল কংগ্রেসে তিনি মোটেই নবাগত নন। সাত বছর হয়ে গেল তিনি শাসক দলের সঙ্গে রয়েছেন। এমনকী তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সহ সভাপতির দায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।
২০১৬ সালে দেওয়া হয়েছিল বড়জোড়ার টিকিট। সেবার তিনি হারেন সিপিএমের কাছে। এবারে অবশ্য একবার তিনি ইতিমধ্যেই জিতে রয়েছেন। করোনার বিরুদ্ধে। করোনাজয়ী সোহম কয়েকদিন আগে ফের জ্বরে পড়েছিলেন। তবে এবার তাঁর করোনা নেগেটিভ। আক্রান্ত হয়েছেন সোয়াইন ফ্লু-তে। শরীর দুর্বল। সেই নিয়েই ভোট প্রচারে নেমেছিলেন তিনি। এখনও চণ্ডীপুরে গ্রামীণ এলাকায় প্রচারে যাচ্ছেন, পাড়া বৈঠক করছেন। চণ্ডীপুরে বাড়ি ভাড়াও করেছেন সোহম।
সোহমের কেন্দ্রে ভোট ১ এপ্রিল। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির পুলক কান্তি গুড়িয়া। রুপোলি পর্দার মানুষ হতে পারেন, কিন্তু সাত বছর রাজনীতির সঙ্গে সংস্রবের ফলে নবাগতদের মত চমকদার কোনও প্রতিশ্রুতি বা বাইট তাঁর কাছ থেকে পাওয়া যায় না। পোড় খাওয়া তৃণমূলির মতই তিনি বলেন বিজেপির অপশাসন, রাজ্যের উন্নয়নের কথা। আর মমতা নির্ভরতার কথাও। বড়জোড়ায়, ২০১৬ সালে তিনি পরাজিত হয়েছিলেন ১০০০-এরও কম ভোটে। সোহম সে ভাগ্য পাল্টাতে চান এবার। চণ্ডীপুরে পড়ে থাকা, অসুস্থ অবস্থায় প্রচার, এসবই প্রমাণ করছে তাঁক দাঁতে দাঁত চাপা লড়াইকে।