উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ বিধানসভার শেরপুর গ্রামে ভোট চলাকালীনই ছড়িয়ে পড়ল উত্তেজনা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তাঁদের ওপর চড়াও হয়েছে।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। তাঁরা জানান, এলাকায় ব্রিজের দাবিতে ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন তাঁরা। সেই ভোট বয়কটকারী আন্দোলনরত গ্রামবাসীদের উপর হামলা চালানো হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় হেমতাবাদ বিধানসভার শেরপুর গ্রামে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা মেরে হাত মুখ ফাটিয়ে দেয় আন্দোলনকারী গ্রামবাসীদের বলে অভিযোগ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি ভাঙচুর করা হয় তাঁদের বাড়িঘরও। রায়গঞ্জ বিধানসভা এলাকায় একের পর এক কেন্দ্রীয় বাহিনীর হামলায় ঘটনায় ক্ষুদ্ধ বিধানসভার ভোটাররা।
"নো ব্রীজ নো ভোট" এই স্লোগানকে সামনে রেখে আন্দোলনে নামেন এলাকার বাসিন্দারা। বেশ কিছুদিন আগে থেকেই এলাকায় সেতু নির্মানের দাবিতে ভোট বয়কট আন্দোলন শুরু করেন তাঁরা।
হেমতাবাদ বিধানসভার শেরপুর গ্রামের বাসিন্দারা বৃহস্পতিবার ভোটের দিনে কেউই বুথে যাননি। এলাকার ১২৯ এবং ১২৯ এ নম্বর বুথে ভোট কর্মীরা ভোটগ্রহনের সমস্তরকম প্রস্তুতি নিয়ে রাখলেও একজন গ্রামবাসীও ভোট দিতে যাননি। ভোটগ্রহন কেন্দ্রের একটু দূরে আন্দোলনকারীরা একজোট হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। অনেকে আবার গ্রামে বসেই টিভি দেখছিলেন কিন্তু ভোট দিতে যাননি।
এরপর আচমকাই শেরপুর গ্রামে প্রবেশ করে বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী। কাউকে কোনও কিছু না বলেই গ্রামবাসীদের ওপর আক্রমণ চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় বাহিনীর লাঠির ঘায়ে আহত হন বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী গ্রামবাসী। বাদ যাননি গ্রামের মহিলারাও। অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনী ভাঙচুর চালায় আন্দোলনকারী গ্রামবাসীদের বাড়িঘরেও। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শেরপুর গ্রামে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়।
এদিকে, ভোটের দিন সকালেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ সামনে এসেছিল। রায়গঞ্জ শহরের কলেজপাড়া এলাকার একটি বুথে বুথ লেভেল অফিসারকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে বাহিনীর জওয়ানদের বিরুদ্ধে। অভিজিত কুন্ডু নামে ওই অফিসার উপযুক্ত পরিচয় পত্র নিয়েই বুথে ঢুকতে যান বলে দাবি করেছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল নটা নাগাদ কলেজপাড়ার ১৫৬ নম্বর বুথে ঢুকতে গেলে তাঁকে আটকানো হয় বলে অভিযোগ। তিনি জানান, এদিন নির্বাচন কমিশনের পরিচয়পত্র নিয়ে তিনি বুথ চত্বরে ঢুকে ভোটারদের স্লিপ দিচ্ছিলেন। যেসব ভোটাররা স্লিপ পাননি, তাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছিল স্লিপ। কিন্তু সেই কাজে বাধা দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। বুথের সামনেই মারতে শুরু করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। লাঠি দিয়ে মাটিতে ফেলে এলোপাথাড়ি পেটানো হয় বলে অভিযোগ। মারতে মারতে ওই অফিসারকে বুথ থেকে প্রায় ১০০ মিটার তারা টেনে নিয়ে যায়। এলাকার বাসিন্দারা এসে পরে ওই অফিসারকে উদ্ধার করেন।