কিছুদিন আগে পর্যন্ত রাজ্য রাজনীতির আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বাংলার উত্তর থেকে দক্ষিণ অধিকাংশ জায়গাতেই পড়েছিল শুভেন্দু অধিকারীর পোস্টার। শনিবার অমিত শাহের সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। কিন্তু, তারপর কী প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের তরফে। খোঁজ মিলছে না দাদার অনুগামীদেরও। পাড়ায় পাড়ায় ঝোলানো পোস্টার সেভাবে চোখে পড়ছে না। তাহলে এখন কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারীর জনপ্রিয়তা?
আরও পড়ুন-'বাংলায় দুই অক্ষরের গন্ডি পেরোবে না বিজেপি, হলে জায়গা ছেড়ে দেব', বিস্ফোরক প্রশান্ত কিশোর
দলবদলের দিনই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে সবচেয়ে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেছিলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। শুভেন্দুকে দেওয়া কেন্দ্রীয় সরকারের আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেছিলেন, ''যদি হিম্মত থাকে, তাহলে ওই ৩০টা সিআরপিএফ নিয়ে নন্দীগ্রাম বিধানসভায় আবার ভোটে দাঁড়াবেন। দেখব, আগামী নির্বাচনে উনি কটা ভোট পান''। অন্যদিকে, শুভেন্দু প্রসঙ্গে তাঁকে বিশ্বাসঘাতক বলে আক্রমণ করেছেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্য়ায়। পাশাপাশি, শুভেন্দুর পরিবারেও তাঁকে ধ্বন্দ দেখা দিয়েছে। ''আমি মমতার অনুগত সৈনিক। তৃণমূলেই ছিলাম, আগামিদিনে সেখানেই থাকব''। বলে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করেছেন শুভেন্দুর বাই দিব্যেন্দু অধিকারী। যদিও, তাঁদের বাবা শিশির অধিকারীর এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি।
আরও পড়ুন-আজ রাজ্যপালের সঙ্গে বিকেলে বৈঠক শুভেন্দুর, শাহ সফরের পর সোমবার ফের চাপে তৃণমূল
শুভেন্দু অধিকারী নিজের চেষ্টায় কোনও দল গঠন করেননি। তিনি বিজেপিতে যোগদান করায় দাদার অনুগামীরাও কি বিশ্বাস হারাচ্ছে? কেননা, শুভেন্দুর দল বদলের পর সেই তৎপরতা নেই অনুগামী শিবিরে। সম্প্রতি, কোনও ভূমিকাও প্রকাশ্য়ে আসেনি। সোশ্য়াল মিডিয়াতেও শুভেন্দুকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় মাথাচাড়া দিয়েছে। যদিও, সব বিতর্ক পিছনে ফেলে শুভেন্দু যে বিজেপিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন, তা অমিত শাহের ভূমিকাতেই স্পষ্ট। দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে শুভেন্দু দেখা করতে পারেন বলে সূত্রের খবর।