শাহ সফর শেষ হলেও রাজ্যে এখন শিরোনামে শুভেন্দু। দল ছাড়ার পর শুভেন্দুর একের পর এক তোপে কার্যত ভগ্নপ্রায় তৃণমূল। এমনই এক সময় সেই বিতর্কের আগুন উসকে রাজ্যপাল টুইট করে জানালেন সোমবার বিকেলে শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠকের কথা।
প্রসঙ্গত, এতদিনে ধরে রাজনীতিতে নির্বাচনে কোন পার্টী কটা সিট পাবে, এর থেকেও বেশী হটকেক ছিল শুভেন্দুর যোগদানের বিষয়টি। এতটাই পরিকল্পনামাফিক এক একটা পদ থেকে ইস্তফা দিতে দিতে মন্ত্রীত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরে মানুষের বুকে ধকধক বেশিই শুরু হয়ে গিয়েছিল। সকাল সন্ধে তাঁর উপর গোয়েন্দাদের মত নজর রাখছিল দলের সদস্যরা। যদি বিজেপির সঙ্গে কোনও কিছু গোপন তথ্য রেডারে ধরা পড়ে। তবে শেষ মুহূর্তেও বোধয় সবাই ভেবেছিল পোস্টার দেখে, খেলা অন্য পথে এগোবে। তৃণমূলের শীর্ষ নের্তৃত্বের এত চেষ্টাতেও শেষ রক্ষা হল না, শত চেষ্টা করেও। কারণ শস্য়ের মধ্যেই ভূত থাকার অভিযোগ। দলের মধ্যে শুভেন্দু অন্যতম অপছন্দের খচখচের কারণ ছিল 'পিসির ভাইপো'। তবে মন্ত্রীত্ব ছাড়ার পর মধ্যস্ততায় আসতে তৃণমূলের সুপ্রিমো অনেক দাবিই মেনে নিয়েছিল। তার মধ্য়েই অন্যতম শুভেন্দু এলাকায় পার্থী নিযুক্ত বা চয়েজ করতে হস্তক্ষেপ করবে না অভিষেক কিংবা প্রশান্তকিশোর। তরী কুলের দিকে এগোচ্ছিলও। কিন্তু ফের ডায়মন্ড হারবারের সভা থেকে অভিষেকের 'মায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকার' মন্তব্য়ে আগুনের মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। পিছনে পড়ে কল্যান বন্দ্য়োপাধ্য়ায়, ফিরহাদ হাকিম। এরপর পরেই দল ছাড়েন শুভেন্দু।
এরপর শাহ-র ঐতিহাসিক সভায় শুভেন্দু বিজেপি যোগদান, একের পর এক তোপ এবং চিঠিতে কার্যত নড়েচড়ে গিয়েছে তৃণমূল শিবির। তার ৪৮ ঘন্টা যেতে না যেতেই সোমবার বিকেলে তার রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের কথা জানালেন শুভেন্দু। না জানি আরও কত কী অপেক্ষা করছে মা-মাটি-মানুষের সরকারের জন্য, চাপান উতর রাজনৈতিক মহলে।