মুকুল রায় ও শিশির বাজোরিয়ার ফোন কল নিয়ে এবার মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহ। রাজ্যের শীর্ষস্থানীয় দুই বিজেপি নেতার পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, তাঁরা গোপন বা অবৈধ কোনও বিষয় নিয়ে আলোচনা করেননি। তাঁরা যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন, সেটি নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এনিয়ে কোনও লুকোচুরি নেই । কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কে দুই বিজেপি নেতার ফোনকল ট্যাপ করেছে।
যদিও গতকাল সকাল থেকে টেলিফোনকাণ্ডে উত্তাল ছিল রাজ্য। প্রথম দফায় নন্দীগ্রামে বিজেপি নেতাকে ফোন করে সাহায্য চেয়েছিলেন মমতা- এমন একটা অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা প্রলয় পাল স্পষ্ট করে জানিয়েছে তাঁকে ফোন করে সাহায্য চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তিনি মমতাকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারবেন না তিনি। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ফোনের কথা স্বীকার না করলেও অস্বীকার করা হয়নি।
প্রথম দফায় ৩০এ ২৬ আসন পাচ্ছে বিজেপি, দিল্লি থেকে রাজ্যের মহিলাদের ধন্যবাদ অমিত শাহর ..
বেলা গড়াতে না গড়াতেই তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ একটি অডিও ক্লিপ সামনে আনেন। মুকুল রায় ও শিশির বাজোরায় কথোপকথন বলেও উল্লেখ করে তিনি অভিযোগ করেন বিজেপি নেতারা নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। যদিও ভোটেন নির্ঘণ্ট প্রকাশের সময় থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন বিজেপির কথায় চলছে নির্বাচন কমিশন। বিজেপি নেতাদের ফোন কল ফাঁস হওয়ার পর তৃণমূল নেত্রীর সেই অভিযোগে শিলমহল পরানোর চেষ্টা করেন তৃণমূল নেতারা। বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া টেলিফোনের কথা স্বীকার করলেও প্রথমে মুকুল রায় তা উড়িয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে অমিত শাহ মুকুল রায় ও শিশির বাজোরিয়ার পাশেই দাঁড়িয়ে কে বিজেপি নেতাদের ফোন ট্যাপ করেছে সেই প্রশ্নই তুলে দিলেন।