তনুজ জৈন, প্রতিনিধি, পাঁচ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে ডাকাতির ছক ভেস্তে দিল পুলিশ। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরর শিশাতলা এলাকা থেকে শনিবার রাতে তাদের ধরা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে একটি আধুনিক পিস্তল, দু রাউন্ড গুলি ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম, আনারুল হক, মহবুল হক, আরজাউল হক। এরা চাঁচলের জানিপুর, বলরামপুর ও রামপুরের বাসিন্দা! বাকি দুজন আকমল শেখ ও আমিরুল হরিশ্চন্দ্রপুরের হড়কাবাথানের বাসিন্দা।
এলাকায় ডাকাতির উদ্দেশ্যে তারা জড়ো হয়েছিল বলে ধৃতদের জেরা করে জানতে পেরেছে পুলিশ। যদিও নির্বাচনের মুখে বিহার সংলগ্ন এলাকা থেকে সশস্ত্র ওই দুষ্কৃতী দলটির গ্রেফতারিকে ঘিরে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে। দুষ্কৃতীরা কোথা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র পাচ্ছে তা নিয়ে একে অন্যকে বিঁধেছে শাসক দল ও বিরোধী বিজেপি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতে লোটোরা জল ট্যাঙ্কের পাশে জড়ো হয়েছিল দুষ্কৃতী দলটি। গোপনে খবর পেয়ে হানা দেয় পুলিশ। পুলিশ দেখে দুষ্কৃতীরা পালানোর চেষ্টা করলেও তাড়া করে পুলিশ তাদের ধরে ফেলে। ডাকাতির পরিকল্পনা ভেস্তে দিলেও নির্বাচনের মুখে তাদের কাছ থেকে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন পুলিশ। এর আগে বিহার থেকে হরিশ্চন্দ্রপুরে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আসার সময় একাধিক দুষ্কৃতীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। উদ্ধার হয় বন্দুক,গুলিও।
আজ মুলতুবি ভোটের লড়াই, পরস্পরকে রঙিন করে তুলে সৌহার্দ্যের বার্তা রায়গঞ্জের রাজনীতি ময়দানে ...
প্রথম দফায় ৩০এ ২৬ আসন পাচ্ছে বিজেপি, দিল্লি থেকে রাজ্যের মহিলাদের ধন্যবাদ অমিত শাহর ...
হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি মানিক দাসের অভিযোগ, বিহারে বিজেপির জোট সরকার। তাই সেখান থেকে অস্ত্র নিয়ে এসে নির্বাচনের মুখে সন্ত্রাস চালানোর ছক কষা হচ্ছে। তবে পুলিশ সজাগ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শাসকদলের এই স্থানীয় নেতা। তিনি বলেন, বিজেপির অভিসন্ধি সফল হবে না।
বিজেপির হরিশ্চন্দ্রপুর-১ মণ্ডল সভাপতি রূপেশ আগরওয়াল বলে, তৃণমূলেরঅপর নাম সন্ত্রাস। তৃণমূলের মদতেই ওদের হাতে সহজে অস্ত্র পৌঁছে যাচ্ছে। বিজেপি সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেয় না।