কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের চ্যাংড়াবান্ধা চেক পোস্ট এলাকার দীর্ঘদিনের সমস্যা চোরাচালান। শনিবার রাতে দুই বাংলাদেশি গরু পাারকারী বিএসএফের গুলিতে নিহত হল।
শনিবার গভীর রাত বা রবিবার ভোরে কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ বিধানসভার চ্যাংড়াবান্ধা এলাকায় বিএসএফের গুলিতে নিহত হল ২ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। চ্যাংড়াবান্ধা এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া না থাকা এবং ধরলা নদীর ভৌগলিক অবস্থানের সুযোগ নিয়ে, প্রায়ই এই অঞ্চল দিয়ে অনুপ্রবেশ ঘটে। বিএসএফের ১৪৮ নং ব্যাটেলিয়ান শনিবার রাতে ওই দুই অনুপ্রবেশকারীকে দেখতে পেয়ে তাদের বাধা দেয়। পাল্টা বিএসএফ জওয়ানদের উপরই আক্রমণ করে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে, তাদের উদ্দেশ্যে গুলি চালিয়েছিল সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
বাহিনি জানিয়েছে, কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্ধা চেকপোস্টের কাছে অনেকটা েলাকা জুড়ে সীমান্তে কোনও কাটাতারের বেড়া নেই। ভারত ও বাংলাদেশের মাঝে রয়েছে ধরলা নদী। ইপাড়ে ভারতের মেখলিগঞ্জ, আর ওই পাড়ে বাংলাদেশের ফুলমনির হাট। তাই, মদ থেকে গরু - দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন জিনিস চোরাচালান হয় ই েলাকা দিয়ে।
বিএসএফ-ের দাবি, শনিবার গভীর রাতেও চ্যাংড়াবান্ধা চেকপোস্টের কাছে দিয়ে গরু পাচারের জন্য জমায়েত হয়েছিলেন অনেকে। গভীর রাতে দেখা যায়, চ্যাংড়াবান্ধার ধরলা নদী সংলগ্ন সীমান্ত দিয়ে একদল বাংলাদেশি ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছে। তৎক্ষণাৎ তাদের বাধা দেয় বাহিনী। বাকিরা ফিরে গেলেও ওই দুই বাংলাদেশি বিএসএফ জওয়ানদের ঘিরে হামলা চালানোর চেষ্টা করে। েতে দুই বিএসএফ জওয়ানও জখম হয়েছেন। এরপরেই বিএসএফের পালটা গুলিতে দুই পাচারকারীর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন - ডানা কেটে নিয়েছিল তালিবান, ছবিতে ছবিতে চিনে নিন আফগান বায়ুসেনার প্রথম মহিলা পাইলটকে
আরও পড়ুন- কাবুলে 'রুদ্ধ সঙ্গীত' - গানের স্কুলে ভাঙছে বাদ্যযন্ত্র, বাড়ছে তালিবানের আনাগোনা, দেখুন
জানা গিয়েছে, তাদের নাম ইউনুস আলি ও মহম্মদ সাগর। দুজনের বাড়ি যথাক্রমে বাংলাদেশের পাটগ্রাম েবং নীলফামারী জেলায়। তারা দুজনেই গরু পাচারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিল বলে দাবি বাহিনীর। আপাতত, মৃতদেহদুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর দেহদুটি তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বিএসএফ। ের জন্য বাংলাদেশি বর্ডার গার্ড বা বিজিবি-র সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে ভারতীয় পক্ষ।