কেমিকেল দিয়েই টাকা হয়ে যাবে দ্বিগুণ। এমনই ভুল বোঝানো হচ্ছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর কয়েকজন বাসিন্দাকে। তাঁদের থেকে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছিল লক্ষাধিক টাকা।
কেমিকেল দিয়েই টাকা হয়ে যাবে দ্বিগুণ। এমনই ভুল বোঝানো হচ্ছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর কয়েকজন বাসিন্দাকে। তাঁদের থেকে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছিল লক্ষাধিক টাকা। বেশ কিছু দিন ধরে এভাবেই সেখানে প্রতারণা চক্র চালাচ্ছিল কয়েকজন। অবশেষে তদন্ত চালিয়ে দু'জন প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আরও একজনের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। এই চক্রের সঙ্গে আর কেউ জড়িত কিনা তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন- গভীর রাতে গর্ভনরের টুইট দেখে সরগরম রাজ্য, ধনখড়কে নিয়ে কমেডি-কটাক্ষ নেটিজেনদের
কয়েকদিন আগেই প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন গোসাবার বাসিন্দা অসিত হালদার। ওই চক্রের ফাঁদে পা দিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, তাঁকে ব্ল্যাক ম্যাজিক ও কেমিকেলের সাহায্যে টাকা দ্বিগুণ করে দেওয়ার লোভ দেখিয়েছিল তিন ব্যক্তি। সেই ফাঁদে পা দিয়ে জ্যোতিষপুরের একটি বাড়িতে ৬ লক্ষ টাকা নিয়ে যান তিনি। অভিযুক্তরা বেশ কিছু কেমিক্যাল পাশের একটি ঘরে পাত্রে গুলে রেখেছিল। এরপর আসল টাকা রেখে পাশের ঘর থেকে সেই কেমিকেল গোলা জল অসিতবাবুকে নিয়ে আসতে বলে। সেই সুযোগেই আসল টাকার বান্ডিল সরিয়ে সেখানে টাকার আদলে কাটা কাগজ ঢুকিয়ে দিয়েছিল প্রতারকরা। এরপর অসিতবাবু ফিরলে তাঁকে টাকা রাখা সেই পাত্রে কেমিকেল গোলা জল ঢালতে বলে। তারপর অসিতবাবুকে পাত্রটি বাড়ি নিয়ে গিয়ে একদিন পরে খুলতে বলেছিল প্রতারকরা। কিন্তু, একদিন পর সেই পাত্র খোলার পর রীতিমতো অবাক হয়ে যান অসিতবাবু। পাত্র খুলে দেখেন সেখানে কোনও টাকা নেই। শুধুমাত্র কাগজের টুকরো পড়ে রয়েছে বলে অভিযোগ।
তখনই বুঝতে পারেন যে তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে গতকাল বাসন্তী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জ্যোতিষপুর থেকে বাবলু মহাদেব মণ্ডল ও বাসন্তী থেকে দেবু কর্মকার নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দু'জনের কাছ থেকে মোট ৪ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া বেশ কিছু টাকার মতো করে কাটা কাগজের টুকরো, কিছু কেমিকেলের কৌটো, প্রতারণা করার কাজে ব্যবহৃত কিছু পাত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তৃতীয় অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। তাহলে বাকি টাকাও উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এছাড়া এই চক্রের সঙ্গে আর কেউ জড়িত কিনা তা অভিযুক্তদের জেরার মাধ্যমে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।