শারীরিক দুর্বলতার সঙ্গে অসম লড়াই, জীবনযুদ্ধে বাজিমাত বলরামপুরের দুই বন্ধুর

মূক ও বধির দুই বন্ধু শত বাধা অতিক্রম করে ইউটিউবকে বেছে নিয়েছেন শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে। বিশেষভাবে সক্ষম হলেও পরিবারের বোঝা হয়ে উঠতে চাননি তাঁরা দু'জনেই। আর সেই কারণেই ইউটিউবে টেলারিংয়ের কাজ শেখেন তাঁরা।

Asianet News Bangla | Published : Oct 9, 2021 6:26 PM IST

তাঁরা বিশেষভাবে সক্ষম (Specially abled)। তাঁরা মূক ও বধির (Dumb and deaf)। কিন্তু, এই দুর্বলতার সুযোগ না নিয়ে জীবন জোয়ারে গা ভাসিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। কারও দয়ায় নয়, দিনরাত পরিশ্রম করে সংসার চালাচ্ছেন বলরামপুর এর উজ্জ্বল মহান্তি ও অক্ষয় দত্ত।

মূক ও বধির দুই বন্ধু শত বাধা অতিক্রম করে ইউটিউবকে বেছে নিয়েছেন শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে। বিশেষভাবে সক্ষম হলেও পরিবারের বোঝা হয়ে উঠতে চাননি তাঁরা দু'জনেই। আর সেই কারণেই ইউটিউবে টেলারিংয়ের (tailoring) কাজ শেখেন তাঁরা। তার মাধ্যমে একটু একটু করে নিজেদের পারদর্শী করে তোলেন। এর ফলে আজ তাঁরা এলাকার নাম করা দর্জি। পুজোর সময় প্রচুর জামা প্যান্ট তৈরির বরাত পান। আজ তাঁদের নাওয়া খাওয়ার সময় নেই।

আরও পড়ুন- ভোট মিটতেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ মুর্শিদাবাদে, নতুনভাবে 'খেলা' হবে বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের

পুরুলিয়ার (Purulia) বলরামপুরের দুই যুবক উজ্জ্বল মাহান্তি এবং অক্ষয় দত্ত। তাঁরা দু'জনেই মূক ও বধির। তবুও নিজেদেরকে কর্মহীন করে পরিবারের বোঝা হয়ে উঠতে চাননি। তাই সেলাই মেশিন দিয়ে গড় গড় করে একের পর এক বানিয়ে ফেলছেন নতুন জামা প্যান্ট। ইউটিউব থেকে নানান ডিজাইনের জামা প্যান্ট তৈরির কাজ শিখে আজ দুই বন্ধুই সবার মন জয় করে নিয়েছেন।

আরও পড়ুন- পুজোর মুখেই অ্যাকাউন্টে ঢুকছে 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার'-এর টাকা, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগের হিড়িক মালদহে

শুধু ছেলেদের নয় মেয়েদেরও পোশাক তৈরি করেন। সেলাইয়ের বিশেষ দক্ষতা রয়েছে তাঁদের মধ্যে। আর পুজোর সময় অতিরিক্ত চাপ থাকায় এখন দিনরাত একিই ভাবে পরিশ্রম করে নিজেদের স্বাবলম্বী করে তুলেছেন তাঁরা। উজ্জ্বল ছোটবেলায় হারিয়েছেন বাকশক্তি, কানেও শুনতে পান না। তবুও নিজেকে যোগ্য হিসাবে গড়ে তোলার কাজ করে চলেছেন। আজ তাঁর বয়স ২৫ বছর। এই বয়সেই টেলারিং-এর কাজ করে নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলেছেন। 

আরও পড়ুন, By ELection: পুজো দিয়ে চতুর্থীর সকালেই উপনির্বাচনের প্রচারে খড়দহ-র BJP প্রার্থী জয় সাহা

নিজের বাড়িতেই খুলেছেন একটি দোকান। আর তাঁর সহকারী হিসেবে অক্ষয়কে রেখেছেন নিজের দোকানে। অক্ষয়ও জন্ম থেকেই মূক ও বধির। তাই এঁরা দু'জনেই নিজেদের হাতে জামা-কাপড় তৈরি করে সেলাই করে চলছেন। পুজোর সময় জামা প্যান্টের বরাত বেশি হওয়ায় বেড়েছে কাজের চাপ। তাই এখন দুই বন্ধু নাওয়া খাওয়া ছেড়ে মজেছেন লক্ষ্মী লাভের আশায়। তাই বিশেষভাবে সক্ষম হওয়াও যে সব সময় বাধা হয় না তার প্রমাণ দিয়েছেন অক্ষয় ও উজ্জ্বল।

Share this article
click me!