হুগলির চণ্ডীতলায় কুপিয়ে খুন একই পরিবারের তিনজনকে। এক ব্যবসায়ী সহ তাঁর স্ত্রী ও মেয়েকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে তুতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে। সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
হুগলির (Hooghly) চণ্ডীতলায় (Chanditala) কুপিয়ে খুন (Murder) একই পরিবারের তিনজনকে। এক ব্যবসায়ী সহ তাঁর স্ত্রী ও মেয়েকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে তুতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে। সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনকে আটক করেছে চণ্ডীতলা থানার (Chanditala Police Station) পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্ত পলাতক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে চণ্ডীতলার নৈটি এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় ঘোষ (৪৫), তাঁর স্ত্রী মিতালী (৩৬) এবং তাঁদের মেয়ে শিল্পাকে (১৭) কুপিয়ে খুন করে তাঁদেরই আত্মীয় শ্রীকান্ত ঘোষ। সূত্রের দাবি, সম্প্রতি মুম্বই থেকে চণ্ডীতলায় ফিরেছিলেন শ্রীকান্ত। প্রতিবেশীদের সঙ্গে খুব একটা মেলামেশা করতেন না তিনি। অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তবে কী কারণে এমন আচরণ করতেন তা জানা নেই স্থানীয়দের। তবে সম্পত্তি নিয়ে যে শ্রীকান্তর সঙ্গে সঞ্জয়ের একটা ঝামেলা চলছিল, সেটা তাঁরা জানতেন ৷ অবশ্য সেই বিষয় নিয়ে প্রতিবেশীদের সঙ্গে দু'পক্ষের কেউই আলোচনা করেননি।
আরও পড়ুন- কাজে যোগ দিতে তামিলনাড়ুতে যাচ্ছিল, রামপুরহাট স্টেশনে উদ্ধার ৯ নাবালক
এরপর আজ সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ হঠাৎই সঞ্জয়দের বাড়িতে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হয়। অভিযোগ, সঞ্জয়ের বাড়িতে ঢুকে প্রথমে তাঁর উপরই চড়াও হন শ্রীকান্ত। শাবল দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করেন। তারপর তাঁকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপান। বাধা দিতে গেলে মিতালীকেও আঘাত করেন শ্রীকান্ত। মিতালীকেও খুন করা হয়।
এদিকে বাবা-মাকে এভাবে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে বাড়ি থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিল শিল্পা। তাকেও ছাড়েননি শ্রীকান্ত। ভাইঝির চুলের মুঠি ধরে তাকে টেনে আনেন তিনি। তাকেও একইভাবে শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করেন শ্রীকান্ত। আহত হয়ে রাস্তাতেই পড়ে যায় ওই কিশোরী। তারপর ভাইঝিকেও কুপিয়ে খুন করেন বলে অভিযোগ। এরপর এলাকা ছেড়ে চম্পট দেন শ্রীকান্ত।
আরও পড়ুন- ৩ দিন পর মিলল খোঁজ, চা-বাগান থেকে উদ্ধার জয়গাঁ থানার এএসআই-এর দেহ
এই ঘটনার পর শ্রীকান্তর এখনও পর্যন্ত কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। সেই কারণে তাঁর দাদা তপন ঘোষকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। শ্রীকান্তর বাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছায় চণ্ডীতলা থানার পুলিশ। দেহ তিনটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তপন ঘোষকে আটক করেছে পুলিশ।
এর আগে গত ২ ডিসেম্বর সিঙ্গুরের নান্দায় একই পরিবারের চার জনকে খুন করেছিল তাঁদেরই এক আত্মীয়। আর সোমবার চণ্ডীতলায় সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল।