হাসি খাতুন ও তার মেজো ভাই রোজ আলির সঙ্গে রবিবার বিকেল ৪টে নাগাদ নিজেদের বাড়ির পিছনে এক পরিত্যক্ত পাকা বাড়ির ভিটেতে খেলছিল। তখনই বোলতা কামড়ায় তাদের।
বিষাক্ত বোলতার কামড়ে মৃত্যু হল এক শিশুর। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিনজন। রবিবার বিকেল ৪টে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের রামশিমূল গ্রামে। মৃতের নাম হাসি খাতুন (৩)। অসুস্থ হয়েছেন হাসির ঠাকুমা সুবেরা বেওয়া (৭০), জেঠিমা সাবেরা বিবি ও মেজো ভাই রোজ আলি (৬)। এদিকে ওই শিশুর অকাল মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা পরিবারে।
রামশিমূল গ্রামের বাসিন্দা হাসির আরও তিন ভাই রয়েছে। তাদের বাবা হাসিবুল আলম রাজস্থানের জয়পুরে রিকশা চালান। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, হাসি খাতুন ও তার মেজো ভাই রোজ আলির সঙ্গে রবিবার বিকেল ৪টে নাগাদ নিজেদের বাড়ির পিছনে এক পরিত্যক্ত পাকা বাড়ির ভিটেতে খেলছিল। এদিকে তাদের বাড়ির চালে বোলতা চাক তৈরি করেছিল। তারা সেখানে খেলতে গেলে তখনই বিষাক্ত বোলতা তাদের কামড়ে দেয়। তাদের চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ছুটে আসেন ঠাকুমা সুবেরা বেওয়া ও জেঠিমা সাবেরা বিবি। তাঁদেরও কামড়ায় বোলতা। সঙ্গে সঙ্গে অসুস্থ হয়ে পড়ে সবাই। শুধু হয় যন্ত্রণা।
আরও পড়ুন- 'রাজ্য সরকারের ভালো কাজের পাশে আছে বিজেপি', লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রসঙ্গে বললেন দিলীপ
আরও পড়ুন- 'পুলিশের দরজা ভাঙার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ', পাল্টা মামলা করতে হাইকোর্টের পথে BJP নেতা সজল ঘোষ
আরও পড়ুন- ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে CGO-নিজাম প্যালেস নয়, এবার নতুন জায়গা বাছল CBI
এরপর ওই চারজনকেই চিকিৎসার জন্য চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দুই শিশুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাদের মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দেন চিকিৎসক। কিন্তু, ওই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তাতেই মৃত্যু হয় হাসির। বর্তমানে বাকি তিনজনই আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছেন হাসির মামা ফুলসার আলম। এদিকে শুধুমাত্র একটা বোলতার কামড়ের ফলে এক শিশুর মৃত্যু হল এটা যেন ভাবতেই পারছেন না তিনি।