পুলিশ সূত্রে খবর,চার ছাত্রের মধ্যে এক বন্ধু নিয়মিত টিকটিক, ফেসবুকের রিল ভিডিও বানায়। সেই এইরকম রিল ভিডিও করছিল তারা। এমনকী ওই ছাত্রের সোশ্যাল মিডিয়ায় লাখের ওপর ফলোয়ারও আছে।
রিল ভিডিও করতে গিয়ে বিপাকে ছাত্র। জের গড়ালো থানা পর্যন্ত। এদিন চারজন স্কুল ছাত্র একত্রে জড়ো হয়েছিল চুঁচুড়া ময়ূরপঙ্ক্ষী ঘাটে। হঠাৎই দেখা যায় এক ছাত্র অপর এক ছাত্রর দিকে পিস্তল তাক করেছে। এদিন দুপুর একটার সময়ে ঘটে ঘটনাটি। গঙ্গার ধার ধরে জেলখানা রোডের ধারে এই ঘাটটিতে একটি মনোরম পার্ক রয়েছে। সেই সময় ঘটনাস্থলে কেউ না থাকলেও সিসিটিভির (CCTV) মাধ্যমে পুলিশ পুরো ঘটনাটি দেখে ফেলে। সঙ্গে সঙ্গে চুঁচুড়া থানার পুলিশ (Police of Chinsurah police station) হাজির হয়ে যায় সেখানে। চারজনকেই পিস্তল সহ ধরে থানায় নিয়ে আসা হয়। তারপরই ফাঁস হয় আসল তথ্য।
দেখা যায় পিস্তলটি আসলে খেলনা পিস্তল। চারছাত্রই নাবালক। চুঁচুড়া শহরের বিভিন্ন এলাকায় তাদের বাড়ি। পুলিশের কাছে তারা জানায় তাদের মধ্যে এক বন্ধু নিয়মিত টিকটিক, ফেসবুকের রিল ভিডিও বানায়। সেই এইরকম রিল ভিডিও করছিল তারা। এমনকী ওই ছাত্রের সোশ্যাল মিডিয়ায় লাখের ওপর ফলোয়ারও আছে। এরপর চুঁচুড়া থানা থেকে ছাত্রদের বাড়ির লোককে ডেকে পাঠানো হয়। অভিভাবকরা এলে মুচলেকা দিয়ে চারজন ছাত্রকেই অবিভাভবকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সম্প্রতি চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অর্ণব ঘোষ কমিশনারেট এলাকায় 'সিক্রেট আই' নামে একটি প্রকল্প চালু করেন। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো সিসিটিভির মাধ্যমে বেশ কিছু এলাকা চব্বিশ ঘন্টা নজরদারি করা। এর জন্য বেশ কিছু স্পর্শকাতর এলাকায় উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অত্যাধুনিক ক্যামেরা বসানো হয়েছে গোপন ভাবে।
আরও পড়ুন-
আরও পড়ুন-
ঘটনা প্রসঙ্গে চুঁচুড়া থানার আই সি অনুপম চক্রবর্তী জানান, “সিক্রেট আই থেকেই পুরো ঘটনাটা পর্যবেক্ষণ করে আমাদের জানানো হয়। সঙ্গে সঙ্গে আমরা মুভ করি। রিল মুভির শুটিং করছিল দুজন বন্ধু। তাদের সঙ্গে ছিল আরো দুজন। প্রত্যেকেই নাবালক ছাত্র। বন্দুকটাও নকল। বাড়ির গার্জেনদের ডেকে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।” এদিকে ঘটনার খবর চাউর হতেই ব্যাপাক চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ার অগ্রগতির সাথে সাথেই বর্তমানে দেখা যাচ্ছে নিত্য-নতুন ট্রেন্ড। বর্তমান কালে তার মধ্যে অন্যতম এই রিল ভিডিও। যা বানিয়ে খুলে যাচ্ছে নিত্য-নতুন উপার্জনের রাস্তাও। এমনকী সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়ানো নিত্য-নতুন মজাদার ভিডিওতেই বুঁদ হয়ে থাকছে নেটপাড়া। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে জীবনের ঝুঁকি নিয় তা বানাতে গিয়ে বিপদেও পড়ছেন অনেকে।
আরও পড়ুন-