ফের ভাগাড়ের মাংসের ছায়া রাজ্যে, চুঁচুড়া থেকে উদ্ধার ৫৬ কেজি পচা মাংস, গ্রেফতার ব্যবসায়ী

Published : Jun 19, 2021, 02:07 PM IST
ফের ভাগাড়ের মাংসের ছায়া রাজ্যে, চুঁচুড়া থেকে উদ্ধার ৫৬ কেজি পচা মাংস, গ্রেফতার ব্যবসায়ী

সংক্ষিপ্ত

ফের ভাগাড়ের মাংসের ছায়া রাজ্যে চুঁচুড়া থেকে ৫৬ কেজি পচা মাংস উদ্ধার ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ তদন্তে নেমেছে চন্দননগর কমিশনারেটের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ

ভাগাড়ের মাংসের কথা হয়তো অনেকেই জানেন। কয়েক বছর আগে এই বিষয়কে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। একাধিক মাংস বিক্রেতা ও রেস্তরাঁ থেকে উদ্ধার করা হচ্ছিল পচা মাংস। যার জেরে বেশ কিছুদিন মাংস খাওয়াই বন্ধ করে দিয়েছিলেন রাজ্যবাসী। আর এবার সেই ভাগাড়ের মাংসের স্মৃতিকে উসকে দিল চুঁচুড়ার একটি ঘটনা। বৃহস্পতিবার রাতে হুগলির চুঁচুড়া থেকে প্রায় ৫৬ কেজি পচা মাংস উদ্ধার হয়েছে। ইতিমধ্য়েই এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

আরও পড়ুন- ৭ বছর পর সারদা মামলায় জামিন পেলেন দেবযানী মুখোপাধ্যায়, তবুও ঝুলেই রইল ভিন রাজ্যে ভাগ্য

গোপন সূত্র থএকে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত এনফোর্সমেন্ট শাখার আধিকারিকরা এবং ফুড সেফটি আধিকারিকরা চুঁচুড়ার খরুয়া বাজার এলাকায় যৌথভাবে অভিযান চালান। অভিযোগ, তখনই একটি মাংসের দোকান থেকে ৫৬ কেজি পচা মাংস উদ্ধার হয়। ওই দোকান থেকেই এলাকার একাধিক হোটেল, রেস্তরাঁয় মাংস যেত। মাংস খতিয়ে দেখেন ফুড ইন্সপেক্টর। তারপরই তিনি জানান, উদ্ধার হওয়া মাংসগুলি পচা। এরপর পচা মাংস বিক্রির অভিযোগে ব্যবসায়ী বিমলেন্দু দাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত। 

বিমলেন্দুর বক্তব্য, "কোনও সঠিক পরীক্ষা ছাড়াই ফ্রিজে রাখা মাংস পচা বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমার বাড়িতে সব সময় ২০ থেকে ২৫ কিলো মাংস থাকে।" ঘটনার তদন্তে নেমেছে চন্দননগর কমিশনারেটের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। চুঁচুড়া থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলাও রুজু হয়েছে। বিমলেন্দুর দোকান থেকে যেসব রেস্তরাঁয় মাংস পৌঁছে দেওয়া হত সেখানেও জিজ্ঞাসাবাদ করবেন তদন্তকারীরা। 

এই প্রসঙ্গে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের সিপি অর্ণব ঘোষ বলেন, "মাংসগুলি কতদিনের পুরোনো তা জানতে পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট হাতে পেলেই পুরো বিষয়টা পরিষ্কার হবে।" 

আরও পড়ুন- বিয়ের ১০ দিনের মাথায় শুরু অকথ্য অত্যাচার, বধূ নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার শুভশ্রীর জামাইবাবু

প্রসঙ্গত, তিন বছর আগে ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে ভাগাড়ের পচা মাংস বিক্রি নিয়ে উত্তাল হয়েছিল রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা। প্রথমে জানা গিয়েছিল, বজবজের একটি ভাগাড় থেকে মরা পশুর মাংস পাচার হত শহরের হোটেলগুলিতে। মরা পশুর মাংস পাচারের সঙ্গে যুক্ত দু'জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই চক্রের মূল পান্ডা সানির হদিশ মেলে। এরপর ট্যাংরা, কাঁকিনাড়া, জগদ্দল-সহ একাধিক জায়গায় হানা দেয় পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে এই চক্র ছড়িয়ে গিয়েছে আন্তর্জাতিক স্তরেও। রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে ভাগাড়ের মাংস উদ্ধার করা হয়। এমনকী, এর সঙ্গে একাধিক রেস্তরাঁর নামও জড়িয়ে পড়েছিল। আর সেই স্মৃতিকেই ফের উসকে দিল চুঁচুড়ার এই ঘটনা।

PREV
click me!

Recommended Stories

Babri Masjid : বাবরি মসজিদ তৈরির আগেই কোটি কোটি টাকা! ১১টি ট্রাঙ্ক ভর্তি অনুদান গুনছেন ৩০ জন
Dilip Ghosh: ‘বাবরের নামে কোনও মসজিদ হবে না!’ সরাসরি হুমায়ুনকে চ্যালেঞ্জ দিলীপের