আসানসোল পুলিশের জালে ৭ রহস্যময় যুবক, পিছনে জামতাড়া গ্যাং না অন্য কিছু, তদন্তে পুলিশ

কয়েকদিন ধরেই উত্তর আসানসোলের রামকৃষ্ণ ডাঙ্গাল এলাকায় সাতজন অচেনা যুবকের আনাগোনা লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। এদিকে পুলিশ ওই বাড়িতে পৌঁছানোর আগেই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় তারা। ওই যুবকরা কুখ্যাত জামতাড়া গ্যাংয়ের সদস্য বলে অনুমান পুলিশের।

Asianet News Bangla | Published : Jul 13, 2021 4:14 AM IST / Updated: Jul 13 2021, 10:28 AM IST

কয়েকদিন ধরেই উত্তর আসানসোলের রামকৃষ্ণ ডাঙ্গাল এলাকায় সাতজন অচেনা যুবকের আনাগোনা লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। খবর পেয়ে যুবকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর দীপক সাউ। তাঁদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। কিন্তু, কথা বলার পর থেকেই মনে একটা খটকা লাগছিল। সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করেন থানায়। এদিকে পুলিশ ওই বাড়িতে পৌঁছানোর আগেই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় তারা। পরে মোবাইল ফোনে লোকেশন ট্র্যাক করে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ওই যুবকরা কুখ্যাত জামতাড়া গ্যাংয়ের সদস্য বলে অনুমান পুলিশের। 

আরও পড়ুন- শিক্ষামন্ত্রীকে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুরুচিকর মন্তব্যের অভিযোগ, গ্রেফতার ব্যবসায়ী

সোমবার রাতে দীপকবাবুর কাছে খবর আসে যে তাঁর এলাকার রামকৃষ্ণ ডাঙ্গালের এক বাড়িতে সাতজন যুবক রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা, দিন সাতেক ধরে লক্ষ্য করেছেন যে সারা রাত ওই যুবকদের ঘরে আলো জ্বলে। এমনকী, রাতের দিকেই তারা ফোনে কথা বলে। খবর পেয়েই সেখানে পৌঁছান দীপকবাবু। কথা বলেন এক যুবকের সঙ্গে। জানা যায়, তারা ধাদকা পোস্ট অফিসে চিঠি জ্বালানোর কাজ করে। বাংলার বাইরে থেকে কাজের জন্য এসেছে। এদিকে যুবকের কথায় সন্তুষ্ট হননি দীপকবাবু। যোগাযোগ করেন পুলিশের সঙ্গে। কিন্তু, পুলিশ পৌঁছানোর আগেই সেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় তারা। 

আরও পড়ুন- নতুনদের থেকে দলে পুরোনোরা বেশি গুরুত্ব পাক, নাড্ডার কাছে আর্জি দিলীপের

 

আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ বাড়িতে ঢুকে যুবকদের খোঁজ করতে থাকলেও তাদের কাউকেই পাওয়া যায়নি। কিন্তু, তাদের ফেলে যাওয়া ব্যাগ পত্র ঘেঁটে উদ্ধার হয় প্রচুর সিম কার্ড, মোবাইল ফোন, হায়দরাবাদ কলকাতা বিমানের টিকিট, স্ট্যাম্প, স্ট্যাম প্যাড, পোস্ট অফিসের খাম, স্টেট ব্যাঙ্কে লক্ষ লক্ষ টাকা জমা করার রশিদ সহ ভোটার কার্ড। স্ট্যাম্প প্যাডে বেশ কিছু নামও দেখতে পাওয়া গিয়েছে। 

এরপরই বাড়ির মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। বাড়ি মালিক জানান, পাড়ার এক যুবক এদের ওই বাড়িটি ভাড়াতে দিয়েছিল। সাত দিন আগেই তারা এসেছে। সবাই একসঙ্গে কখনও বাইরে যায় না। কিন্তু, কি কারণে হটাৎ করে সবাই একসঙ্গে পালিয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন- রথ চলতেই আচমকা পড়ে গেল সাত বছরের ছেলেটা, কিছু বুঝে ওঠার আগেই সব শেষ

এরপরই দীপকবাবুকে সঙ্গে নিয়ে যুবকদের খোঁজে নেমে পড়ে পুলিশ। স্টেশন থেকে শুরু করে সব জায়গায় ওই যুবকদের খোঁজ চালানো হয়। এরপর মোবাইল ফোনে লোকেশন ট্র্যাক করে প্রায় তিন ঘণ্টা পর স্থানীয় এক হোটেল থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃতরা হায়দরাবাদ, বিহারের নাবাদা সহ আরও অন্যান্য জায়গার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। হায়দরাবাদ থেকে বিমানে তারা কলকাতায় আসে। তবে কি উদ্দেশ্য তারা এসেছিল, তাদের সঙ্গে আর কারা জড়িত রয়েছে, কীভাবে তারা বাড়ি ভাড়া পেল, এমনকী ধাদকা পোস্ট অফিসের সঙ্গে তাদের পরিচয় কীভাবে হল সবই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যদিও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়।

Share this article
click me!