পার্লামেন্টের বাদল অধিবেশনের মাঝেই অধীরের অনুপস্থিতিতে মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের গড়ে বড়োসড়ো বিপর্যয়। দলে ছেড়ে তৃণমূলে যোগ ৯ নেতার।
জল্পনা আর কানাঘুসোকে সত্যি করে মুর্শিবাদে আরও একবার ভাঙল কংগ্রেস। অধীর চৌধুরীর ডান হাত হিসেবে পরিচিত এক নম্বর ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি মীর আলমগীর পলাশ কংগ্রেস ছেড়ে ঘাসফুলের পাতাহা হাতে তুলে নিলেন। সঙ্গে তিনি নিয়ে গেলেন আরও ৮ অঞ্চল সভাপতিকে। কংগ্রেসের এই দলবদল দিল্লিতে থাকলেও অস্বস্তিতে ফেলেছে সাংসদ অধীর চৌধুরীকে। যা পৌরসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সংকট আরও বাড়িয়ে দেবে।
বেশ কয়েকদিন ধরেই রাজনৈতিক মহলে কানাঘুষো চলছিলো। শেষ পর্যন্ত তা ফলে গেলো বাস্তবে।একদিকে যখন বাদল অধিবেশনে দিল্লিতে ব্যস্ত রয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী তারই মাঝে কংগ্রেসের গড় মুর্শিদাবাদে বড়োসড়ো বিপর্যয় নেমে এলো সোমবার।কার্যত অধীর চৌধুরীর সেনাপতি বলে পরিচিত ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি মীর আলমগীর পলাশ সহ এক এক করে ৯ জন অঞ্চল সভাপতি কংগ্রেসের 'হাত' ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন। তৃণমূল কংগ্রেস পার্টি অফিসে অনুষ্ঠিত যোগদান সভায় কংগ্রেস ত্যাগ করে আসা নেতৃত্বের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খান ও স্থানীয় বিধায়ক নিয়ামত শেখ। ব্লক সভাপতি সহ কংগ্রেস নেতৃত্ব তৃণমূলে যোগদান করার ফলে তৃণমূল আরও শক্তিশালী হল ও একই সঙ্গে কংগ্রেসের অস্তিত্ব আসন্ন পৌরসভার নির্বাচনের আগে সংকটপূর্ণ হল বলেই মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল।
লাদাখ ইস্যুতে রণে ভঙ্গ দিচ্ছে চিন, বিজ্ঞপ্তি জারি করে যৌথ বিবৃতির কথা জানাল ভারত
বলি-নায়িকদের সঙ্গে ইমরান খানের গোপন আথবা খুল্লমখুল্লা প্রেম, আজও শোনা যায় সেই গুঞ্জন
জানা গিয়েছে, অধীর চৌধুরীর অন্যতম ঘনিষ্ঠ ছিলেন মীর আলমগীর। ২০১১ সালে বিধানসভা ভোটে হরিহরপাড়া কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থীর বিরুদ্ধে মীর আলমগীরকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করান অধীর চৌধুরী। যদিও তিনি নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। ওই কংগ্রেস প্রার্থী তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় ২০১৬ ও পরবর্তীতে ২০২১ সালে হরিহরপাড়া কেন্দ্র থেকে হাত প্রতীকে লড়াই করে পরাজিত হন। নির্বাচনে পরাজয়ের পরেই কংগ্রেস থেকে দূরত্ব বাড়ছিল তাঁর। এদিন মীর আলমগীর বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি তাতে বিজেপির সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার মত ক্ষমতা কংগ্রেসের নেই ফলে তৃণমূলের সঙ্গে যোগ দেওয়া ছাড়া দ্বিতীয় কোনো বিকল্প তাঁর কাছে নেই"।জেলা সভাপতি আবু তাহের খান বলেন, এই জেলায় ক্রমশ একা হয়ে যাচ্ছেন অধীর চৌধুরীর। তাঁর সঙ্গে থাকা নেতা বা সাধারণ মানুষ তাঁকে ত্যাগ করছেন। আগামী দিনে অধীর চৌধুরী তার নিজের দলীয় এজেন্ট পর্যন্ত খুঁজে পাবেনা"।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর হাত ধরেই E-RUPIর সূচনা, নতুন ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবহার করার উপায় জানুন
এদিকে যাবতীয় ঘটনায় অধীর চৌধুরীর রাজনৈতিক সচিব জয়ন্ত দাস বলেন,"প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দলের একটা খারাপ ও ভালো ওই সময় বলে থাকে।তাই যারা খারাপ সময়ের সুযোগ নিয়ে দল থেকে চলে যেতে চায় তারা যেতে পারে কংগ্রেসের মতো সর্বভারতীয় দলের এতে কোনো ক্ষতি হবে না"।