জেলার তিনটি পৌরসভার স্ট্রং রুমে প্রহরা আঁটোসাঁটো করেছে প্রশাসন। ঝালদা পৌরসভা স্ট্রং রুম এবার হয়েছে ঝালদা হাইস্কুলে।
বুধবার (Wednesday) রাজ্যের ১০৮টি পৌরসভার ভোট গণনা। পুরুলিয়া জেলার ঝালদা,রঘুনাথপুর এবং পুরুলিয়া এই তিনটি পৌরসভার ভোট ইভিএম বন্দি হয়ে স্ট্রং রুমে কড়া নিরাপত্তা বলয়ে রয়েছে। ঝালদা পৌরসভার ইভিএম রয়েছে ঝালদা হাই স্কুলের স্ট্রং রুমে। সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে ভোট গণনা। ২৭শে মার্চ ভোট শেষ হওয়ায় পর জেলার তিনটি পৌরসভার স্ট্রং রুমে প্রহরা আঁটোসাঁটো করেছে প্রশাসন। ঝালদা পৌরসভা স্ট্রং রুম এবার হয়েছে ঝালদা হাইস্কুলে।
ঝালদা পৌরসভার ৬২ জনের ভাগ্যের ঝুলি বন্ধ রয়েছে এই স্ট্রং রুমে। অন্যদিকে পুরুলিয়া পৌরসভার ১১২জন প্রার্থীর ইভিএম রয়েছে পুরুলিয়া শহরের মানভূম ভিক্টরিয়া ইনস্টিটিউসেনের স্ট্রং রুমে এবং রঘুনাথপুর পৌরসভার ৫৯জন প্রার্থীর ইভিএম রয়েছে রঘুনাথপুর মহকুমার সি ডি ব্যারাকে।ঝালদা পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের ১২জন প্রতিনিধি। এদিকে বিভিন্ন দলের প্রতিদ্বন্দ্বীরা এখন থেকে শুরু করে দিয়েছে ভোটার তালিকায় দাগ লাগানোর কাজ। কার ভোট নিজের দিকে কার ভোট গেছে বিরোধী থলিতে। এই নিয়ে চলছে চুলচেরা হিসাব।
কোনো কোনো ওয়ার্ডে নিজের জয় নিশ্চিত ভেবে এখন থেকেই রয়েছেন খুশির আমেজে। আবার কোথাও সমানে সমান লড়াই হওয়াতে প্রার্থীরা বারবার হিসেব কষছেন ভোটার তালিকা দেখে। কি হবে ফল এই নিয়ে কর্মী-সমর্থকদের জটলা করে চলছে আলোচনা। এদিকে মঙ্গলবার পুরুলিয়া শহরের মানভূম ভিক্টোরিয়া ইনস্টিটিউশনের স্ট্রং রুমের পেছনের দিকে একটি বাঁশের সিঁড়ি দেখতে পেয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়।
বিজেপির অভিযোগ এই বাঁশের সিঁড়ি লাগিয়েই হয়তো ইভিএম কারচুপি করা হয়েছে। খবর পেয়ে মানভূম ভিক্টোরিয়া স্কুল প্রাঙ্গনে পৌঁছান পুরুলিয়ার বিজেপি বিধায়ক তথা পুরুলিয়া পৌরসভার ১৬ নাম্বার ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী সুদীপ মুখোপাধ্যায়, ২০ নাম্বার ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী রাজেশ কাটারুকা পুরুলিয়া জেলা বিজেপি সভাপতি বিবেক রাঙা সহ অন্যান্যরা। পুরুলিয়া শহরের বুকে মানভূম ভিক্টোরিয়া ইনস্টিটিউশনের স্ট্রং রুমে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা বলয়ের মাঝে কি ভাবে বাঁশের সিঁড়ি লাগলো তা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরুলিয়ার রাজনৈতিক মহলে।
পুরুলিয়ার বিধায়ক তথা ১৬ নাম্বার ওয়ার্ডের বিজেপি প্রাথী সুদীপ মুখোপাধ্যায় এবং বিজেপির জেলা সভাপতি বিবেক রাঙ্গা সরাসরি জানান বাঁশের সিঁড়ি লাগানো রয়েছে মানে ইভিএম কারচুপি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে জানানোর পাশাপাশি কোর্টে যাবার হুঁশিয়ারি দেন পুরুলিয়া জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।