নদীয়ার নাম বললেই নাম আসে কৃষ্ণনগরের। রাজ্যের বাকি পৌরসভার মতো এই পৌরসভাতেও ভোট পর্ব মিটেছে গত রবিবার। ফল প্রকাশ বুধবার।
রাজ্যের রাজনৈতিক ভাবে উত্তপ্ত জেলাগুলির মধ্যেই বরাবরাই শীর্ষ তালিকায় নাম থাকে নদীয়া। আর নদীয়ার নাম বললেই নাম আসে কৃষ্ণনগরের। রাজ্যের বাকি পৌরসভার মতো এই পৌরসভাতেও ভোট পর্ব মিটেছে গত রবিবার। এবার রাত পোহালেই শুরু গণনা প্রক্রিয়া। তা নিয়ে গোটা জেলাজুড়েই চড়েছে নির্বাচনী পারদ। এদিকে নদিয়া জেলায় পৌরসভা রয়েছে ১০ টি। বীরনগর পৌরসভা, চাকদহ পৌরসভা, গয়েশপুর পৌরসভা, হরিণঘাটা পৌরসভা, কল্যাণী পৌরসভা, কৃষ্ণনগর পৌরসভা(Krishnanagar Municipality), নবদ্বীপ পৌরসভা, রানাঘাট (Ranaghat) পৌরসভা, শান্তিপুর পৌরসভা ও তাহেরপুর নোটিফাইড এরিয়া। পাশাপাশি প্রশাসনিক তথ্য মারফত জানা যায় সমগ্র নদীয়া (Nadia District) জেলায় পৌরসভা নির্বাচনের মোট ভোটার সংখ্যা ৪২৬০৭৩ জন। সমগ্র জেলার ১০ টি পৌরসভা মিলিয়ে মোট ওয়ার্ড সংখ্যা ১৯৭ টি। ১৯৭ টি ওয়ার্ডের মোট বুথ সংখ্যা ৮৮৪ টি। এবারে ভোট উপলক্ষ্যে গোটা জেলাতেই ছিল কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী।
এদিকে এর মধ্যে কৃষ্ণনগর পৌরসভার মোট ভোটার সংখ্যা ৬৪৯০৪। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩ সালের কৃষ্ণনগর পৌরসভা নির্বাচনের ২৪ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২২ টি ওয়ার্ড জয়লাভ করেছিল তৃণমূল। এবং দুটি ওয়ার্ড জিতেছিল নির্দল প্রার্থী। এমনকী শেষ বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনের পর জেলার রাজনৈতিক মানচিত্রে এসেছে বড় বদল। এদিকে কৃষ্ণনগর বংলার নদীয়া জেলার সদর শহর ও পৌরসভা এলাকা বলেই খ্যাত। কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণীর মাটির পুতুল ও মূর্তি পশ্চিমবঙ্গের শ্রেষ্ঠ কুটির শিল্পগুলির অন্যতম। এটি বর্তমানে নদিয়া জেলার প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র ও প্রাচীন বাংলার অন্যতম শিক্ষা ও সংস্কৃতির শহর বলে পরিচিত। কৃষ্ণনগরের বারদোলের মেলা বাংলার অতি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী মেলা। নদিয়ারাজ কৃষ্ণচন্দ্র এই মেলার প্রবর্তক হিসাবে জানা যায়। এই ঐতিহাসিক এলাকই এখন উত্তপ্ত নির্বাচনী আবহে।
আরও পড়ুন- শুরু পুরভোটের ফলপ্রকাশের কাউন্টডাউন, কার হাতে যাচ্ছে জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পৌরসভা
আরও পড়ুন- যুদ্ধের মধ্যেই ইউক্রেনে আটকে গাইঘাটার যুবক, উদ্বেগে গোটা পরিবার
এদিকে ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে কৃষ্ণনগর শহরের জনসংখ্যা হল ১৩৯,০৭০ জন।এর মধ্যে পুরুষ ৫১% এবং নারী ৪৯%। এখানে সাক্ষরতার হার ৭৯%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮৩% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭৫%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে কৃষ্ণনগর এর সাক্ষরতার হার বেশি।এই শহরের জনসংখ্যার ৯% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী বলে শেষ জনগণনা থেকে জানা যায়। যদিও ভোটের ময়দানে তারপর এসেছে অনেক বদল। এমতাবস্থায় আগামীকালের ফল প্রকাশের পর এই রাজনীতি সচেতন পৌরসভাটি কার দখলে যায় সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন-যুদ্ধ নয় শান্তি চাই, ভিন্টেজ কার নিয়েই কলকাতার রাস্তায় নেমে বড় চমক মদনের