উত্তম দত্ত, হুগলি: ভারী যান চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু সেই নিয়ম আর মানছে কে! বালিবোঝাই লরির চাপে শেষপর্যন্ত হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল সেতু। বরাতজোরে রক্ষা পেলেন চালক। দুর্ঘটনা ঘটল হুগলির পাণ্ডুয়ায়।
তখন সদ্য স্বাধীন হয়েছে দেশ। ১৯৫৮ সালে হুগলির পাঁণ্ডুয়ার একটি পাকা সেতু তৈরি করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সংস্কারের অভাবে দীর্ঘদিন ধরেই সেতুর বেহাল দশা। বারবার বলা সত্ত্বেও প্রশাসনের তরফে সেতু মেরামতের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। স্রেফ ভারী যানচলাচল নিষেধাজ্ঞা জারি করাই নয়, বিপজ্জনক ঘোষণা করে সেতুতে ওঠার মুখে বোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। তাহলে দুর্ঘটনা ঘটল কী করে? স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, একটি বালি বোঝাই ট্রাক নিয়ে সটান সেতুর উপর উঠে পড়েন চালক। তাঁকে বারণ করেও কোনও লাভ হয়নি। ফলে যা হওয়ার, তাই হয়েছে। লরির চাপ আর সহ্য করতে পারেনি, হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে সেতুটি। বরাতজোরে রক্ষা পান ট্রাকের চালক এবং প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই পালিয়েও যান তিনি।
এদিকে সেতু ভেঙে পড়া খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভে পড়েন এলাকার মানুষ। কারণ, আশেপাশের পাঁচটি গ্রামের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। গ্রামগুলি একে অপরের থেকে এখন কার্যত বিচ্ছিন্নই বলা চলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান হুগলি জেলা পরিষদের সেচ ও কৃষি দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ মনোজ চক্রবর্তী। দ্রুত নতুন সেতু তৈরির কাজ শুরু হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।