সিবিআইয়ের স্ক্যানারে আন্তর্জাতিক গরু পাচারকারী,লালগোলায় হানা দিল দল

  • এনআইএ-র হাতে জলঙ্গি থেকে এক গুচ্ছ জঙ্গি গ্রেপ্তার
  • ইন্দ-বাংলা সীমন্ত এলাকায় কড়া নজরদারি অব্যাহত
  • বুধবার লালগোলায় পৌঁছয়  সিবিআই-এর আট সদস্যের দল
  • এক বিশেষ প্রতিনিধি দল দুটি ভাগে ভাগ হয়ে চালায় চিরুনি তল্লাশি 

Asianet News Bangla | Published : Sep 23, 2020 6:25 PM IST / Updated: Sep 23 2020, 11:56 PM IST

এনআইএ-র হাতে জলঙ্গি থেকে এক গুচ্ছ জঙ্গি গ্রেপ্তার হওয়ার পরে ইন্দ-বাংলা সীমন্ত এলাকায় কড়া নজরদারি অব্যাহত রেখেছে কেন্দ্রের একাধিক তদন্তকারী দল । বুধবার জেলার সীমান্তবর্তী লালগোলায়  সিবিআই-এর আট সদস্যের এক বিশেষ প্রতিনিধি দল দুটি ভাগে ভাগ হয়ে টানা চিরুনি তল্লাশি চালাল জেলার গরু পাচারকাীদের মাস্টারমাইন্ড এনামুল হক ওরফে খুদুকে ধরতে। তল্লাশি চালানো হয়, লালগোলা থানার নশিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুলগাছি রামচন্দ্রপুরের বাড়িতে। ওই তাল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি উদ্ধার করে সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসাররা। 

যদিও সেই এনামুল-এর নাগাল পাওয়া যায়নি। সিবিআই সূত্রে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, গরু পাচার করে যে বিপুল পরিমাণ টাকা খুদু আয় করে তা বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য বিনিয়োগ করত। গরু পাচার করতে গিয়ে সীমন্তরক্ষী বাহিনীর একাধিক কর্তার সঙ্গে খুদুর গোপন আঁতাত তৈরি হয়। সেই সব কর্তাদেরও খুঁজে পেতে মরিয়ে হয়ে উঠেছে সিবিআই । স্বাভাবিক ভাবে এদিন রাম নগর এলাকায় এক সীমন্ত্র রক্ষী বাহিনীর বাড়িতেও হানা দেয়  তদন্তকারী অফিসাররা । 

জানা গিয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাত দিয়েই খুদু অবাধে বাংলাদেশে টাকা পাঠাত ।ফলে সিবিআই এখন খুদুকে হাতে পেতে চাইছে । খোঁজ শুরু হয়েছে খুদুর এক সময়ের ব্যবসায়ী পার্টনার তথা ভাগ্নে  জাহাঙ্গীর মেহেদি ও হুমায়ূনের । পারিবারিক ভাবে জানা গিয়েছে, ওই তিন ভাগ্নের মধ্যে দু  জন মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশে বেশ কিছু দিন থেকে বসবাস করেন । এই ব্যাপারে সি বি আই অবশ্য মুখ খুলতে চাননি । এদিন রাম নগরের পর ওই দল টি পৌঁছান জঙ্গিপুরের সাইদাপুর সীমন্ত এলাকায় সেখানে সীমন্তের বেশ কিছু ছবিও তোলেন তারা । পরবর্তীতে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উম্মরপুর এলাকায় খুদুর রাইস মিল , টি এম টি বার উৎপাদন সংস্থার ছবিও সংগ্রহ করেন তদন্তকারী দল  ।

সূত্রের খবর, বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ গরু পাচারের অপরাধে ২০১৮ সালেরে মার্চ মাসে সি বি আই গ্রেপ্তার করে খুদু কে । সপ্তাহ তিনেক সি আই আইয়ের হেপাজতে থাকার পর জামিনে মুক্ত হয় ওই পাচারকারী।এদিন  সি বি আই হানাদারির পর এনামুল ওরফে  তার ঘনিষ্ঠ মহলে জানাই“ পুরাতন ওই মামলার চার্জ সিট দেবে সি বি আই ,তাই শেষ বারের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত করতেই আচমকা আমার রামচন্দ্র পুরের বাড়িতে অফিসাররা হাজির হন ।আমি বাড়িতে না থাকায় তাদের সঙ্গে আমার দেখা হয়নি ।“

Share this article
click me!