উত্তম দত্ত, হুগলি: হাতে হাতে স্মার্টফোন। মোবাইল ছাড়া এক মুহুর্ত চলাই এখন দায়। কিন্তু ফোনের সিম কার্ড যদি মনপসন্দ না হয়, তাহলে কী করে হবে! সেই সুযোগটাই কাজে লাগাল প্রতারকরা। অ্যাকাউন্ট থেকে যে দশ লক্ষ টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে, তা বুঝতেই সময় লেগে গেল দু'মাস। পুলিশের অভিযোগ দায়ের করেছেন হুগলির ব্য়ান্ডেলের এক ব্যবসায়ী।
আরও পড়ুন: লকডাউন কাড়ল প্রাণ, অভাবের তাড়নায় আত্মঘাতী পরিযায়ী শ্রমিক
ঘটনাটি ঠিক কী? ব্যান্ডেলের বালি মোড়ে এলাকায় থাকেন সঞ্জয় ঘোষ। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী। গত ২২ জুলাই একটি ফোন আসে সঞ্জয়ের মোবাইলে। ওই ব্যবসায়ীর দাবি, ফোনে বলা হয় তাঁর সিমকার্ডটি ফোর জি-তে পরিবর্তন করতে হবে এবং সেকারণে বন্ধ রাখতে হবে মোবাইলটি। শুধু তাই নয়, একটি বিকল্প নম্বরও চাওয়া হয়। স্ত্রী ফোন নম্বর দেওয়ার যথারীতি নিজের মোবাইলটি বন্ধ করে দেন তিনি। তারপর? সেদিন দুপুর ফের একটি ফোন আসে স্ত্রীর মোবাইলে। এবার ব্য়াঙ্ক ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে জানতে চাওয়া হয়, ব্যাঙ্কে তাঁর নামে কোনও অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গিয়েছে কিনা? সঞ্জয় বলেন, ব্যাঙ্কে খবর না নিয়ে বলতে পারবেন না। এদিকে দু'দিন পেরিয়ে গেলেও মোবাইলটি আর চালু হয়নি। কী ব্যাপার? রীতিমতো চিন্তায় পড়ে যান পেশায় ব্যবসায়ী সঞ্জয় ঘোষ। শেষপর্যন্ত পাড়ার একটি দোকান মোবাইলটি ফের চালু করে নেন তিনি।
আরও পড়ুন: সাইবার প্রতারকদের নিশানায় উপাচার্য, শোরগোল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে
এই ঘটনার পর কেটে যায় দু'মাস। ২৫ সেপ্টেম্বর চূঁচুড়া শহরের যে বেসরকারি ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলেছেন, ইনকাম ট্যাক্স জমা দেওয়ার জন্য সেই ব্যাঙ্কে যান সঞ্জয়। দেখেন, তাঁর অ্যাকাউন্টে কোনও টাকাই নেই! গায়েব হয়ে গিয়েছে ১০ লক্ষ টাকা। এবং ঘটনাটি ঘটেছে জুলাই মাসের শেষের দিকে, যখন ফোর জি সিম অ্যাক্টটিভ করার জন্য় মোবাইলটি বন্ধ রেখেছিলেন। ফলে ব্যাঙ্ক থেকে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কোনও বার্তাও আসেনি। কীভাবে এমনটা হল? ব্যাঙ্কের বক্তব্য, অনলাইন লেনদেনের মাধ্যমেই টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। তাহলে কি ৪ জি সিমের টোপেই প্রতারণার শিকার হলেন? চুঁচুড়া থানা ও চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটে সাইবার সেলে অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রতারিত ব্যবসায়ী।