পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার কারণেই কি ঘটল এমন মর্মান্তিক ঘটনা? সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল কিশোরীর অশ্লীল ছবি। অপমানে আত্মহত্যা করল স্কুলছাত্রী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল উত্তর ২৪ পরগণার শ্যামনগর। অভিযুক্তেরা এখনও অধরা।
আরও পড়ুন: আত্মরক্ষায় মহিলাদের কুংফু-ক্যারাটে প্রশিক্ষণ, পশ্চিম মেদিনীপুরে বিজেপির 'উমা' কর্মসূচি
ঘটনাটি ঠিক কী? স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত কিশোরী একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। দিন কয়েক আগে তার হোয়াটস অ্যাপে বেশ কয়েকটি ছবি আসে। পরিবারের লোকেদের দাবি, নগ্ন ওই ছবিগুলিতে সুপার ইম্পোজ করে বসানো হয়েছিল ওই কিশোরীর মুখ। সঙ্গে অশ্লীল ছবিগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। আর দেরি করেননি, থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন পরিবারের লোকেরা। তারপর? মৃতের পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের তরফে কোনও সহযোগিতা মেলেনি। এমনকী, মুহুর্তের মধ্যে ছবিগুলি ছড়িয়ে দেওয়া হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরপর যা হওয়ার, তা হয়। পরিচিতদের প্রশ্নের মুখে পড়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে ওই কিশোরী। শেষপর্যন্ত লোকলজ্জায় ভয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় সে।
আরও পড়ুন: কানে মোবাইল দিয়ে বাস চালকের বেপরোয়া গতি, পশ্চিম মেদিনীপুরে বাস উল্টে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা
সোমবার সকালে বাড়ি থেকে কিশোরীর নিথর দেহ উদ্ধারের পর পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। দেহ আটকে রেখে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান পরিবারের লোক ও প্রতিবেশীরা। তাঁদের দাবি, পুলিশ যদি সময়মতো ব্যবস্থা নিত, তাহলে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটত না। পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। অভিযুক্তেরা এখনও অধরা।