কৌশিক সেন, রায়গঞ্জ: পরীক্ষার পর পেরিয়ে গিয়েছে ছ'মাস। করোনা আবহে অবশেষে প্রকাশিত হল জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফলাফল। ইঞ্জিনিয়ারিং-এ প্রথম স্থান অধিকার করল রায়গঞ্জের সৌরদীপ দাস। ভবিষ্যতে বিজ্ঞানী হতে চায় সে। শহর জুড়ে খুশির হাওয়া।
আরও পড়ুন: রাজ্যের জয়েন্টের ফলাফলে রেকর্ড গড়ল ২০২০, র্যাঙ্ক পেয়ে বিজয়ী ৯৯ শতাংশ পরীক্ষার্থী
রায়গঞ্জ শহরের অশোকপল্লি এলাকায় বাড়ি সৌরদীপের। বাবা চাকরি করেন কৃষিদপ্তরে, মা ছাপোষা গৃহবধূ। ছোট থেকেই পড়াশোনায় মেধাবী তাঁদের একমাত্র ছেলে। মাধ্যমিক পর্যন্ত রায়গঞ্জেই পড়াশোনা করেছে সৌরদীপ। সারদার বিদ্যামন্দিরের ছাত্র ছিল সে। মাধ্যমিক পাস করার পর সৌরদীপ চলে যায় ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে, ভর্তি হয় সেখানকার রামকৃষ্ণ মিশনে। তবে এবার আর বাংলা মাধ্যমে নয়, ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা শুরু করেন সে। তাতে অবশ্য পরীক্ষায় ফলে বিশেষ হেরফের ঘটেনি। সিবিএসসি বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় সাতানব্বই শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করেছে সৌরদ্বীপ। শুধু তাই কি! সর্বভারতীয় স্তরের বিভিন্ন পরীক্ষা, এমনকী সায়েন্স অলিম্পিয়াডেও জিতেছে পুরষ্কার।
আরও পড়ুন: বেঁচে থাকাকালীন 'বেড নেই', ফেরাল হাসপাতাল,মৃত্যুর পর বৃদ্ধার দেহ রাতভোর পড়ে কেষ্টপুরে
জয়েন্ট এন্ট্রান্সে ফল কেমন হবে? সেদিকে নজর ছিল পরিবারের লোকেদের। আশা ছিল, ছেলে নিরাশ করবে না, ফল ভালোই হবে। তবে সৌরদীপই যে প্রথম হবে, তা ভাবতে পারেননি কেউই। তাঁর সাফল্যে উচ্ছ্বাস চেপে রাখতে পারেননি বাবা-মা। খবর পেয়ে সটান বাড়িতে হাজির হন রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস। মেধাবী পড়ুয়াকে সংবর্ধনা দেন তিনি।